আমার স্ত্রী রেখা। সেই রেখা আর এই রেখা- এর মধ্যে কত পার্থক্য, তাই না?
আমাদের দুজনের কেউই বয়সটাকে, বয়সের ছাপটাকে অস্বীকার করতে পারি না। করিও না। কারণ এটা অবশ্যম্ভাবী। বয়সের স্বাদ সবাইকেই নিতে হয়। সেকারণে যেটাকে প্রতিরোধ করা যাবে না সেটা নিয়ে ভেবে আমরা সময় নষ্ট করতে চাই না। কিন্তু আমার কথা সেটা না। কথা হলো, চেহারায় বয়সের ছাপ এসেছে, তাই বলে কি তার সৌন্দর্য কিছু কমেছে? মানুষের সৌন্দর্য তো শুধু তার বাহ্যিকতায় সীমাবদ্ধ নয়। আর কেউ যদি ভেতরে সুন্দর না হয় তাহলে বাইরের মানুষটাকে কি সুন্দর বলা যায়?
আমাদের কারোই এখন সেই প্রাণশক্তি নেই সত্য। কিন্তু সেই চঞ্চলতা অথবা সেই হাসি কিংবা সেই দম, সেই উপযুক্ততার কিছু কি কম চোখে পড়ছে? না। বরং আমি মনে করি বয়সের সাথে সাথে পরিপক্কতা তার সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকার সঙ্গে বয়সের কোনো সম্পর্ক নেই। বাচ্চা জন্ম হওয়া মানে জীবনের নতুন আরেকটি মোড় শুরু হওয়া। এবং সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার নামই জীবন। আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকার নামই জীবন।
আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা সংসারের জন্যে নিজেকে একেবারে উজাড় করে দেন। নিজের দিকে তাকাবার সময়টুকুও পান না তারা। এমনকি অনেক সময় নিজের যত্নও যে করা দরকার- সেটিও ভুলে যান একেবারে।
ভাবতে থাকেন, ধুর! বিয়ে হয়ে গেছে, বাচ্চা হয়ে গেছে, এখন আর কে দেখবে?
দুঃখজনক বিষয়টি হলো, তাদের এই ভাবনাই তাদেরকে বৃদ্ধ হওয়ার আগেই বৃদ্ধ বানিয়ে ফেলে। এই যে আমার স্ত্রী রেখাকেই দেখুন না! তিনটি সন্তানের মা সে, তাই বলে সারাদিনে নিজের চুলে চিরুনি বোলাবার সময়টাও পাবে না!
আহা মেয়ে! নিজেকে এবার অন্তত একটু সময় দাও। ১০টা মিনিট না হয় একটু রূপচর্চা করলেই! না হয় একটু চুলের যত্ন নিলেই! কি হয় তাতে?
একটু এক্সারসাইজ করে, হেলদি ফুড মেইনটেইন করে, নিজেকে ফিটফাট করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখ- বিশ্বাস করো, বেঁচে থাকাটার একটা নতুন অর্থ খুঁজে পাবে।
একবার করেই দেখ না!