শোক একসময় নিভৃতচারী ছিল।
ছিল একটা চুপচাপ বসে থাকা বিকেল,
কিংবা একটা গভীর রাত,
যেখানে কান্নার শব্দও কেমন যেন নীরব হয়ে যেত।
আজ শোক আছে, তবু কোথাও যেন নেই।
আছে ফেসবুকের দেওয়ালে,
আছে একটি সাদাকালো ছবির নিচে একফোঁটা 🖤 ইমোজিতে।
আছে কপি-পেস্ট করা শব্দে,
যা হয়তো আগের কারও পোস্ট থেকে ধার করা।
শোক এখন অনুভব নয়,
একটি ‘ফরম্যাট’।
কেউ চলে গেলে আমরা শোক প্রকাশ করি—
তবে কাদের জন্য?
তাঁদের জন্য যাঁরা হারিয়ে গেলেন?
না কি নিজেদের সোশ্যাল উপস্থিতির প্রমাণ রাখার জন্য?
এই প্রশ্নটা জরুরি হয়ে ওঠে,
যখন দেখি, ব্যথা এখন গ্ল্যামারাইজড।
কান্না আর চোখের জলের বদলে থাকে ‘স্টোরি’ আর ‘রিল’।
শোক কি তবে আর নিভৃত অনুভূতির স্থান নয়?
সে কি এখন নিছক একটি পাবলিক পারফরম্যান্স?
শোক কি আর শোক থাকে,
যখন তা শুধু দেওয়ালে শোভা পায়?
নাকি সে ফিরে যায় নিঃশব্দ কোনো কোণায়,
যেখানে ক্যামেরা নেই, কেবল কান্না আছে?
আমরা কি পারি সেই আসল ঠিকানায় ফিরে যেতে?
যেখানে শোক একান্ত আমাদের,
ভিতরের গভীরতম স্তরে শিকড় ছড়ানো অনুভব—
না বলা, না দেখানো, শুধু থাকা?
আপনার মনে কি শোকের এই সামাজিক রূপান্তর আমাদের সংবেদনশীলতাকে বদলে দিচ্ছে?
নিচে মন্তব্যে জানাতে পারেন আপনার ভাবনা, অভিজ্ঞতা কিংবা দ্বিধা—
কারণ ‘শোক’ নিয়ে কথা বলাটাও একধরনের সাহস।
ভালো থাকবেন🤗ভালোবাসবেন।
