শুভাকাঙ্ক্ষী

0 comment 93 views

শুভাকাঙ্ক্ষী হলেন যিনি শুভ আকাঙ্ক্ষা করেন- হোক সেটা পরের তরে হোক কিংবা সব কিছুর তরে। হিতৈষী যিনি, যিনি শুভানুধ্যায়ী অথবা মঙ্গলকামী- তিনিই শুভাকাঙ্ক্ষী। কি সুন্দর সুন্দর শব্দগুলো, তাই না? শব্দগুলো গুণও কিন্তু অসামান্য। আপনি যখন কাউকে প্রাণঢালা অভিনন্দন বলছেন, যখন লাল গোলাপ শুভেচ্ছা দিচ্ছেন আবার যখন হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা জানাচ্ছেন- আপনি তো তার জন্যে শুভ আকাঙ্ক্ষা ধারণ করছেন। ধারণ যে করছেন- সেটিই জানাচ্ছেন আসলে।

আবার কেউ যখন আর্ত কাউকে সহযোগিতার হাতটি বাড়িয়ে দেয় সেটিও তার জন্যে শুভ আকাঙ্ক্ষা। বাস্তবতা হলো আমাদের জীবনে আমরা সকলেরই ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ দরকার। মনে রাখতে হবে অর্থনৈতিক সহায়তা দৃশ্যমান ও জরুরি হলেও সব নয়। ওই যে প্রাণঢালা অভিনন্দন কিংবা লাল গোলাপ শুভেচ্ছা অথবা হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা- এর দামও কম নয়। বস্তুত হৃদয়ে ভালোবাসাটার অভাব থাকলে সহযোগিতার হাতটি এগিয়ে যায়ও না।

মানুষ কেন মানুষ হতে পেরেছে জানেন? মানুষের মানুষ হয়ে ওঠার কারণটি হলো মানুষ মানুষে মানুষে সম্পর্ক গড়তে পারে। আর সম্পর্কের মূলমন্ত্রটি হলো শুভ আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে পারা। যেমন ধরুন কোনো একজন পুরুষের কোনো একজন নারীকে দেখে তার জন্যে জন্যে যখন মায়া হলো। নারীটিরও হলো। তাদের পরস্পরকে শুধু দেখতে ইচ্ছে করে, দেখতে না পেলে মন কেমন করে, তার জন্যে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, ভালো রেখো তাকে- এইত শুভ আকাঙ্ক্ষা। তারা পরস্পরের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে ওঠে, ভালোবাসে, ঘর বাঁধে। ঘর বাঁধার আয়োজনে সমবেত হন স্বজন, বন্ধু আর নানা জনে। তারা এদেরই শুভাকাঙ্ক্ষী, এরাও তাদের। তারপর আসে সন্তান। এবারে সন্তানের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে ওঠা। এভাবেই একটু একটু করে গড়ে উঠেছে সমাজ।

সমাজের চারপাশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা মানুষের সকলেই তাই কোনো না কোনো ভাবে আপনার স্বজন অথবা বন্ধু। তাহলে আপনি কেন সকলের শুভাকাঙ্ক্ষী হবেন না? তারাও কেন হবেন না আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী? আপনার এই ভাবনাটি তারা সকলে হয়ত জানেন না বলেই আপনার সঙ্গে তাদের একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে আছে। চলুন আমাদের এই ভাবনাটি তাদের জানাই। প্রথম পদক্ষেপটি আমাদেরই হোক না হয়, অসুবিধা কি!

Leave a Comment

You may also like

Copyright @2023 – All Right Reserved by Shah’s Writing