মোটা দাগে পরিবেশ দুই রকমের, অনুকূল পরিবেশ- মানে যে পরিবেশে আমরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আরেকটি হলো প্রতিকূল পরিবেশ। প্রতিকূল পরিবেশে আমাদের বিপক্ষ জায়গা। এখানে আমরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। ফলে প্রতিকূল জায়গাগুলো আমরা সাধারণত এড়িয়ে চলি। কিন্তু সবসময় এই প্রতিকূলতা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তখন মুখ বুজে মেনে নেওয়া বাঁ সহ্য করা ছাড়া উপায় থাকে না। এমন বাস্তবতায় আমাদের শরীর ও মনে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়। এইটিই মানিসিক চাপ।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মানসিক চাপে আক্রান্ত মানুষ স্বচ্ছভাবে চিন্তা করতে পারেন না, তাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে, তারা খুব উদ্বেগে ভোগেন এবং অকারণ রেগে যান।
ব্যাপারটা কি তবে এমন যে একজন মানুষ যে অনুকূল অবস্থা চাইছেন কিন্তু রয়ে গেছেন তার প্রতিকূল একটা জায়গাতে? তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে মানসিক চাপ হলো প্রত্যাশা এবং বাস্তবতার মধ্যে যে ব্যবধান- সেটিই। সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে খুব অল্প একটু জায়গা জুড়ে তার অবস্থান। অথচ এই অল্প একটু জায়গা পুরো মানুষটির আপন জগতের সবটা ওলটপালট করে দেয়!
এমনটি কেন হয়?
উত্তরটি কিন্তু সমস্যার ভেতরেই বর্তমান- প্রত্যাশা। প্রত্যাশা থেকে হয়। আকাঙ্ক্ষা যদি ব্যক্তির কার্যক্ষমতাকে অতিক্রম করে ব্যক্তিকে ছাপিয়ে ওঠে তাহলে ব্যর্থতা আসতেই পারে- আসেও। ব্যর্থতা একা আসে না। হাত ধরাধরি করে তার সঙ্গী হতাশাকে নিয়ে আসে। তারা এসে গেলে পরে আশারা ভাঙতে থাকে। আর ব্যর্থতা ও হতাশা গা জড়াজড়ি করে মনের গহীনে সংসার পাতে। সংসার পাততে গেলে তো ঘর লাগে। সে ঘরের ভিটা খুঁটি আসবাবই হলো মানসিক চাপ- আপনারা যাকে স্ট্রেস বলেন আর কি।
এর থেকে মুক্ত থাকার একটিই উপায়- আপনার কাছে আছে তাতেই খুশি থাকেন।