বই পড়া

0 comment 40 views

পড়িতেছিলাম গ্রন্থ বসিয়া একেলা

সঙ্গীহীন প্রবাসের শূন্য সন্ধ্যাবেলা

করিবারে পরিপূর্ণ। পণ্ডিতের লেখা

সমালোচনার তত্ত্ব; পড়ে হয় শেখা…

সৌন্দর্য কাহারে বলে– আছে কী কী বীজ

কবিত্বকলায়; শেলি, গেটে, কোল্‌রীজ

এটি রবীন্দ্রনাথের ‘পূর্ণিমা’ কবিতার অংশ। ১৮৯৫ সালের ডিসেম্বরে রবীন্দ্রনাথ এডওয়ার্ড ডাউডেনের লেখা ‘নিউ স্টাডিস ইন লিটারেচার’ বইটি পড়ছিলেন। সৌন্দর্য তত্ত্ব জানবার আগ্রহেই বইটি পড়ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এই যে জানবার আগ্রহ, এইটিই শিক্ষার মূল। এই আগ্রহের ফলেই মানুষ শিক্ষিত হয়ে ওঠে। যার এই আগ্রহ নেই সে হয়ত লেখাপড়াটা করেছে বটে, কিন্তু শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে নি। লেখাপড়াটা তখন তার কাছে দায়। করতে হবে বলে করেছে। দায় না থাকলে হয়ত করত না। জানবার ওই আগ্রহই জ্ঞানের আধার। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছেলেবেলায় বই পড়ার অভ্যাসের কথা বলতে গিয়ে লিখেছেন, ‘ছেলেবেলায় একধার হইতে বই পড়িয়া যাইতাম, যাহা বুঝিতাম এবং যাহা বুঝিতাম না, দুই–ই আমাদের মনের উপর কাজ করিয়া যাইত।’ কেবল রবীন্দ্রনাথ নন, বিদ্যাসাগর থেকে শিবনাথ শাস্ত্রী— সকলেই ছিলেন বইপোকা।

বিংশ শতাব্দীতে বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী। আজকের এ লেখাটির শিরোনামও তাঁর কাছ থেকে ধার করা। তো তিনি তাঁর ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘বই পড়া শখটা মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ হলেও আমি কাউকে শখ হিসেবে বই পড়তে পরামর্শ দিতে চাইনে।’ প্রমথ চৌধুরী থেকে ধার করে আমিও বলতে চাই, শখ করে বই পড়বার পরামর্শ আমিও দিতে চাইনে। তবে কি জ্ঞানী হওয়ার জন্যে বই পড়বার পরামর্শ দেব? না, তাও নয়। জ্ঞানের সংজ্ঞা বলছে কোনও একটা বিষয়ে জানা,বোঝা, তার প্রকৃতি, অবস্থান, তথ্য, বিবরণ, বা গুনাবলী সম্পর্কে ধারণা। আমি মনে করি জ্ঞান ব্যাপারটা হচ্ছে বিচক্ষণতা। উপলব্ধিও বটে। আর বিচক্ষতার এই কাজটি করবেন যিনি চিন্তাশীল মানুষ। এবং তার চিন্তার ক্ষেত্রে নতুন নতুন উপাদান যুক্ত করতে পারার যোগ্যতা বইয়ের মতো আর কোনও কিছুরই নেই। আর যিনি চিন্তাশীল তাঁকে যদি আমি বই পড়বার পরামর্শ দিই তাহলে আমার মতো অর্বাচীন আর কেউ নন।

এখন তো ইনফরমেশন টেকনোলজির যুগ। আমরা একে বাংলায় ডাকছি তথ্যপ্রযুক্তি। এইটি একরকম উন্নতি বটে তবে পাশাপাশি বাণিজ্যও। বাণিজ্য যে সেটি শুরুতে সাধারণ লোকে বুঝতে পারে নি। আর বাণিজ্য মানে তো পণ্য। ফলে পণ্যকে বেচতে হয়। বেচতে গেলে সকলের আগে যেটি দরকার, তা হলো বিজ্ঞাপন। এই বিজ্ঞাপনটিরই নাম আসলে তথ্যপ্রযুক্তি। সেকারণে সেসময় তথ্য ও প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছিল যে উদ্দেশ্যে, লোকেদের কাছে তথ্যপ্রযুক্তিকে যেভাবে মেলে ধরা হয়েছিল, নাগালে আসবার পর দেখা গেল সে জিনিসটি আসলে নেই। ঘাটতি আছে। সে ঘাটতি ছোটখাটো নয়, বড়ই। বিস্তর বড়।

আমরা জেনেছিলাম লেখাপড়া করতে নানান লেখাজোঁকা জোগাড় করতে আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে ছুটে বেড়াচ্ছি, তথ্যপ্রযুক্তি হাতের নাগালে এসে গেলে সেসব ঘরে বসেই জোগাড় করে ফেলতে পারব। কথা অবশ্য মিথ্যে নয়। পৃথিবীর নানান বইপত্র, দুর্লভ সব রচনা, ছবি কিবোর্ড চাপলেই ছেলেমেয়েদের কম্পিউটারের স্ক্রিনে চলে আসছে। তবে এর পাশাপাশি আরও যা যা অমন সহজলভ্য হয়েছে তার আকর্ষণকেও উড়িয়ে দিতে বুকে বড় বাজে যে! ওর লোভ সংবরণও সহজ কথা নয়। বিশেষত কমবয়সী ছেলেমেয়েদের কাছে তো তাদের ভালো লাগা আর বিনোদন প্রাধান্য পাবেই, তাই না? সেটা পেতেই পারে। কিন্তু সবচেয়ে বড় ক্ষতিটি হলো, ছেলেমেয়েরা বই বিমুখ হয়ে গেল। আমাদের তারুণ্যে বই পড়াটা ছিল প্রধানতম বিনোদন মাধ্যমগুলোর একটি। এখনকার ছেলেমেয়েরা বই পড়ে না। এ কথা এখন সকলেই বলছেন।

করোনা ভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেল। শুরু হলো অনলাইনে লেখাপড়া। মহামারির বাড়ন্ত আয়ে বাবা-মায়েরা সন্তানকে সেলফোন কিনে দিতে বাধ্য হলেন। খবরের কাগজে খবর এল, ছেলেমেয়েরা অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ভারতের এক খবরের কাগজ তো আরও ভয়াবহ খবর দিল! এক দরিদ্র বাবা অনেক কষ্ট করে মেয়ের অনলাইন ক্লাসের জন্যে একটা সেলফোন কিনে দিলেন। তো সে মেয়ে সেলফোনের ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও বানাতে শুরু করল। সেসব ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দিতেও লাগল। ক’দিন পর কেউ একজন মেয়ের বাবাকে ভিডিওর কথা জানিয়ে দিল। বাবা দেখলেন এবং দেখবার পর তাঁর হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে গেল।

ছেলেমেয়েদের বই পড়ার দায় কি তবে তথ্যপ্রযুক্তির? কিছুটা বটে, তবে সবটা নয়। প্রযুক্তির কোন্‌ অংশটি নিতে হবে আর কোন্‌ অংশটি বর্জন করতে হবে এইটি ছেলেমেয়েকে শেখাবার দায় যেমন আপনার তেমনি তাদের হাতে বই তুলে দেওয়া, বই পড়তে উৎসাহিত করা, বই পড়ার অভ্যাসটি গড়ে তুলবার দায়টিও একান্তই আপনার।

বিবলিওথেরাপি বলে একটা ব্যাপার আছে। ‘বিবলিও’ শব্দটির অর্থ হলো বই। আর থেরাপি তো চিকিৎসা পদ্ধতি। তাহলে বিবলিওথেরাপির অর্থ দাঁড়াচ্ছে বই পড়ে রোগ নিরাময়। চিকিৎসার এই পদ্ধতিতে কোনও ওষুধপথ্যের দরকার নেই। দরকার শুধু বই বই আর বই। আর বই দিয়ে এই চিকিৎসাটি যিনি করবেন তিনি হলেন ‘বিবলিওথেরাপিস্ট’। তাঁরা রোগীকে বই নির্দিষ্ট করে দেবেন, রোগী সে বইটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। বিবলিওথেরাপি দিয়ে মূলত মনের চিকিৎসা করা হয়। বিবলিওথেরাপিস্টরা মনে করেন, বই জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে।

বছর দুই আগে বিবিসি বিবলিওথেরাপিস্টদের নিয়ে একটি প্যানেল করেছিল। তাঁদের কাছ থেকে জীবনের নানা সমস্যায় বিবলিওথেরাপিতে ব্যবহার করা বই ও প্রভাব ও তাঁদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করেছে। তাঁরা জানিয়েছেন সঠিক একটি বই যে কোনও বিষয় সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সক্ষম। একটি ভালো বই মানুষের মানসিক চাপ কমিয়ে তাকে পুনর্জীবিত করতে পারে।

এক বন্ধু সেদিন আড্ডায় বলছিলেন, তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে এসে বই বললে লোকেরা ফেসবুক বোঝেন। শুনে আর সকলে হেসেছিল। কিন্তু হাস্যকরভাবে কথাটা বন্ধু উচ্চারণ করলেও বিষয়টি মোটেই হাস্যকর নয়। বিষয়টি রীতিমত আতংকজনক। এই আতংক আমাদেরই তৈরি। আমরা আমাদের পরের প্রজন্মকে দুধেভাতে রাখতে সকলই করছি, তাদের সকল চাওয়া পূরণ করতে সাধ্যমত চেষ্টা করছি কিন্তু তাদের বই পড়ার অভ্যাসটি গড়ে তুলছি না। না, আমি এখানে পাঠ্য বইয়ের কথা বলছি না। পাঠ্য বইয়ের বাইরে যে বিশাল জ্ঞান বিজ্ঞান সাহিত্য অর্থনীতি আর নানা বিষয়ে বইয়ের ভাণ্ডার রয়েছে, তার কথা বলছি। এইখানে আমরা আরেকবার প্রমথ চৌধুরীর কাছে যেতে পারি। চলুন শুনে আসি তিনি এ বিষয়ে কি বলছেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, শিক্ষা আমাদের গায়ের জ্বালা ও চোখের জল দুই-ই দূর করবে। এ আশা সম্ভবত দুরাশা; কিন্তু তা হলেও আমরা তা ত্যাগ করতে পারি নে কেননা আমাদের উদ্ধারের জন্য কোনাে সদুপায় আমরা চোখের সুমুখে দেখতে পাইনে। শিক্ষার মাহাত্মে আমিও বিশ্বাস করি এবং যিনিই যাই বলুন, সাহিত্যচর্চা যে শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ সে বিষয়ে কোনাে সন্দেহ নেই। লােকে যে তা সন্দেহ করে, তার কারণ এ শিক্ষার ফল হাতে হাতে পাওয়া যায় না, অর্থাৎ তার কোনাে নগদ বাজারদর নেই। এই কারণে ডেমােক্রেসি সাহিত্যের সার্থকতা বােঝে না, বােঝে শুধু অর্থের সার্থকতা।’

অর্থের সার্থকতার লোভেই আজকের অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের ফার্স্ট-সেকেন্ড হওয়ার জন্যে দাবড়ে বেড়াচ্ছেন। ছেলেমেয়েরাও সে দাবড়ানিতে ভালো নম্বর তুলে ভালো বেতনের চাকরির স্বপ্ন দেখছে। আর যারা ভালো নম্বর তুলতে পারছে না তারা নির্যাতিত হচ্ছে। এই নির্যাতনের নাম মানসিক নির্যাতন। কেউ কেউ সে নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহননের পথে ধাবিত হচ্ছে। প্রমথ চৌধুরী বলছেন, ‘সাহিত্যচর্চার সুফল সম্বন্ধে অনেকেই সন্দিহান। যারা হাজারখানা ল-রিপাের্ট কেনেন, তারা একখানা কাব্যগ্রন্থও কিনতে প্রস্তুত নন; কেননা তাতে ব্যবসার কোনাে সুসার নেই। নজির না আউড়ে কবিতা আবৃত্তি করলে মামলা যে হারতে হবে সে তাে জানা কথা। কিন্তু যে কথা জজে শােনে না, তার যে কোনাে মূল্য নেই, এইটেই হচ্ছে পেশাদারদের মহাভ্রান্তি । জ্ঞানের ভাণ্ডার যে ধনের ভাণ্ডার নয়, এ সত্য তাে প্রত্যক্ষ । কিন্তু সমান প্রত্যক্ষ না হলেও সমান সত্য যে, এ যুগে যে জাতির জ্ঞানের ভাণ্ডার শূন্য সে জাতির ধনের ভাঁড়েও ভবানী। তারপর যে জাতি মনে বড়াে নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড়াে নয়; কেননা ধনের সৃষ্টি যেমন জ্ঞানসাপেক্ষ তেমনি জ্ঞানের সৃষ্টি ও মন সাপেক্ষ এবং মানুষের মনকে সরল, সচল, সরাগ ও সমৃদ্ধ করার ভার আজকের দিনে সাহিত্যের উপরও ন্যস্ত হয়েছে। কেননা মানুষের দর্শন, বিজ্ঞান, ধর্মনীতি, অনুরাগ-বিরাগ, আশা-নৈরাশ্য, তার ? অন্তরের স্বপ্ন ও সত্য, এই সকলের সমবায়ে সাহিত্যের জন্ম । অপরাপর শাস্ত্রের ভিতর যা আছে, সে সব হচ্ছে মানুষের মনের ভগ্নাংশ; তার পুরাে মনটার সাক্ষাৎ পাওয়া যায় শুধু সাহিত্যে। দর্শন বিজ্ঞান ইত্যাদি হচ্ছে মনগঙ্গার তােলা জল, তার পূর্ণ স্রোত আবহমানকাল সাহিত্যের ভেতরই সােল্লাসে সবেগে বয়ে চলেছে এবং সেই গঙ্গাতে অবগাহন করেই আমরা আমাদের সকল পাপমুক্ত হব। অতএব দাঁড়াল এই যে, আমাদের বই পড়তে হবে, কেননা বই পড়া ছাড়া সাহিত্যচর্চার উপায়ান্তর নেই। ধর্মের চর্চা চাইকি মন্দিরের বাইরেও করা চলে, দর্শনের চর্চা গুহায়, নীতির চর্চা ঘরে এবং বিজ্ঞানের চর্চা জাদুঘরে; কিন্তু সাহিত্যের চর্চার জন্য চাই লাইব্রেরি; ও-চর্চা মানুষে কারখানাতেও করতে পারে না; চিড়িয়াখানাতেও নয়। এইসব কথা যদি সত্য হয়, তাহলে আমাদের মানতেই হবে যে, সাহিত্যের মধ্যেই আমাদের জাত মানুষ হবে। সেইজন্য আমরা যত বেশি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করব, দেশের তত বেশি উপকার হবে। আমাদের মনে হয়, এ দেশে লাইব্রেরির সার্থকতা হাসপাতালের চাইতে কিছু কম নয় এবং স্কুল কলেজের চাইতে একটু বেশি।’

ছেলেবেলায় আমাদেরকে পাঠ্য বইয়ের বাইরের বই পড়তে দেখলে বড়রা বলতেন নভেল পড়ছি। অনেকেই সমর্থন করতেন। অনেকে আবার করতেনও না। সেইটি আমাদের বিবেচ্য ছিল না। ও বই পড়ে আমরা যে আনন্দ পাচ্ছি সেটিই ছিল আমাদের কাছে মুখ্য। তবে ওই নভেল পড়ায় যেটি হয়েছে, আমাদের বই পড়ার অভ্যাসটি গড়ে উঠেছে। তার পাশাপাশি বয়সের ভেদাভেদ ভুলে অন্যদের সঙ্গে বইয়ের আদান প্রদানের ফলে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বসুলভ একটা সামাজিক বন্ধন গড়ে উঠেছিল। বই পড়ার অভ্যাসটি বই পড়তে গিয়ে আমাদের ক্লান্ত করে তুলতে পারে নি। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, বই পড়বার সে অভ্যাসটি এখন বাঙালী ছেলেমেয়েদের ভেতর দেখতে পাই না।

আমরা যারা বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে থাকি না, থাকি নিউ ইয়র্কে। কিন্তু এই রাজ্যে, এই শহরে আমরা একটি এলাকাকে বাঙালী পরিচয়ে পরিচিত করে তুলতে পেরেছি। এখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি রাস্তার নাম রাখা হয়েছে ‘লিটল বাংলাদেশ এভিনিউ’। সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক খবর হলো ‘নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলা’ শিরোনামে বাংলা ভাষার বইয়ের মেলা নিয়মিত আয়োজিত হচ্ছে। প্রচুর বাংলা পত্রিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। জ্যাকসন হাইটসে গেলে বাংলা ভাষা ছাড়া অন্য ভাষা না জানলেও কোনও বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কোনও অসুবিধে হবে না। এই যে এত এত বাংলার মানুষ, কিন্তু বাংলা বইয়ের পাঠক কই? বাংলা ম্যাগাজিন-পত্রিকা-বইয়ের পাঠক পর্যাপ্ত কেন নয়?

বইমেলা নিয়ে একটা মজার ঘটনা বলে শেষ করছি। স্বাধীনতার আগের কথা। সরদার জয়েনউদ্দীন আহমেদ নারায়ণগঞ্জে একবার বইমেলার আয়োজন করলেন। কিন্তু লোকজন তেমন আসে না। যারা আসে তারা তেমন বই কেনে না। লোকজন আসে না বলে সরদার জয়েনউদ্দীন আহমেদ দু তিন দিন পর একটা গরু এনে মেলাপ্রাঙ্গনে বেঁধে রাখালেন। গরুর গায়ে লেখা ছিল ‘আমি গরু। আমি বই পড়ি না!’

Leave a Comment

You may also like

Copyright @2023 – All Right Reserved by Shah’s Writing