নারী দিবসের ইতিহাসটা আজকাল অনেকেই জানেন, তবু সংক্ষেপে একটু বলি। শ্রমিক আন্দোলন থেকেই বস্তুত নারী দিবসের সূচনা। কর্মঘন্টা কমানো, বেতন বৃদ্ধি ও ভোটের অধিকারের দাবিতে ১৯০৮ সালে প্রায় ১৫ হাজার নারী নিউ ইয়র্কের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছিল। এর এক বছর পরই ১৯০৯ সালে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি প্রথম নারী দিবস পালন করার কথা বলেছিল।
তারপর ১৯১০ সালে জার্মান কমিউনিস্ট ও নারী অধিকার কর্মী ক্লারা জোসেফিন জেটকিন নারী দিবস পালনে ইউরোপে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। অবশেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে নারী দিবস ১৯১৩ সালে পালন করা হয়। সে দিনটি ছিল ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ রবিবার। ক্লারা জেটকিনই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সূচনা করেন।
জাতিসংঘ প্রথম নারী দিবসের ওপর আন্তর্জাতিক বৈঠক করে ১৯৭৫ সালে মেক্সিকোয়। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে দিনটি পালনের জন্য মার্চের ৮ তারিখ ধার্য করা হয়। সে অনুযায়ী ১৯৭৮ সাল থেকে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে কতেটা এগিয়েছে নারী দিবসে সেটিই আসলে উঠে আসে। তাছাড়া বিদ্যমান লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধেও সচেতনতা তৈরিতে নারী দিবস ভূমিকা রাখে। কেননা যে কোনও রাষ্ট্র কিংবা সমাজ কতটা সভ্য অথবা উদার সেটি সে রাষ্ট্র বা সমাজের নারীর পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অবস্থানের ওপর নির্ভর করে।
২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হলো “দ্রুত উন্নতি আনুন”। এখানে নারীর অবস্থানের উন্নয়নের কথাই বলা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো নারী অবস্থান আসলে কতটা উন্নত হয়েছে?