চাই ঐক্য

0 comment 25 views

১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে প্রিন্টেড পত্রিকার সাড়ে ১৩শ’র কিছু বেশি। তার সঙ্গে যদি ইলেকট্রিনক মিডিয়া যোগ করেন তাহলে আরও আনুমানিক পঞ্চাশ-ষাটটা যুক্ত হবে। অনলাইন মিডিয়া ধরলে সংখ্যাটি ধরুন দ্বিগুণ হবে।

নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশীদের সংখ্যা কত? ধরুন লক্ষাধিক।

নিউ ইয়র্কে মিডিয়ার সংখ্যা কত? নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় সংখ্যাটি কেউ জানে না। আমারও জানা নেই। শ’ খানেক হবে কি?

এই মিডিয়াগুলোর পাঠক ও দর্শকো সংখ্যা কত? মনে হয় এটিও কেউ বলতে পারবে না। কোনও পরিসংখ্যান নেই তো বলবে কি করে?

মিডিয়ার প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্লোগানটি হলো- “আমরা সত্যকে নির্ভীক ভাবে প্রকাশ করি”।

অথচ পাঁচটি পত্রিকা পাশাপাশি রেখে যাচাই করলে একটির সত্য অন্যটির সঙ্গে মেলে না। মিডিয়ার চরিত্রানুযায়ী সত্য তার রঙ বদলে ফেলে।

ফলে এ শহরে মিডিয়া এবং মিডিয়া কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে আমাদের অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

আমাদের সিনিয়র সাংবাদিক সমাজের কাছে , আমাদের প্রজন্মের জন্য কি ভূমিকা রাখছে এবং রাখতে পারছে সেটি একটু জানার ইচ্ছে আমার।

আমাদের পেশাদার সাংবাদিক সমাজকে সম্মান জানিয়ে তাদের কাছে জানতে চাই, আমাদের মিডিয়াগুলো প্রজন্মের জন্য কি ভূমিকা রাখতে পেরেছে ?

আর সত্যকে প্রকাশ করাই যদি উদ্দেশ্য হয় তাহলে এত অল্প বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের জন্য এত এত মিডিয়া কেন? সত্য অমন বহুরঙা কেন? কেন একই ছাতার নিচে মিলেমিশে সকলে মিলে একটি, দুটি কিংবা অল্প কয়টি মানসম্মত মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করা যায় না?

নিউ ইয়র্কের মিডিয়াগুলোতে কি বাঙালী, বাংলাদেশ, আমাদের সংস্কৃতি প্রতিনিধিত্বশীল জায়গা নিয়ে আছে?

আরেকটি লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, মিডিয়ার নামে যে ধারাটির প্রচলন ঘটেছে, তাতে নামসর্বস্ব মিডিয়াকর্মীদের দৌরাত্ম্যে দেখছি সত্যিকারের পেশাদার সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মীদের অবমূল্যায়ন ঘটছে। এ আমাদেরই লজ্জা।

সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির যে অভিযোগ সে বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায় নি বলে এখন বলছি না আপাতত।

মূল কথাটা হলো একই দেশের, একই ভাষাভাষীর মানুষদের মধ্যে ঐক্যের এত অভাব কেন!

আমাদের নিজেদের স্বার্থেই ঐক্যের এই অভাবটা ঘোচাতে হবে। নয়ত দিন শেষে অনৈক্যের এই দায় কিন্তু প্রজন্ম আমাকে-আপনাকেই দেবে- আর কাউকে নয়।

Leave a Comment

You may also like

Copyright @2023 – All Right Reserved by Shah’s Writing