কিছু মানুষ আছে যারা শুধুই নিজের মাঝে ভালোবাসাকে ধারণ করে থাকেন। এই ভালোবাসা কেবলই প্রেয়সীর জন্যে, তা কিন্তু নয়। কারণ যিনি ভালোবাসেন, তিনি দিন কাল পাত্র দেখে ভালোবাসেন না, কেননা ভালোবাসা নিজের ভেতরে ধারণ করতে পারেন, তিনি আসলে মানুষকেই ভালোবাসেন। এখানে নারীপুরুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। যদি নারী কিংবা পুরুষ কোনো বিশেষ জায়গা অধিকার করেও থাকে, তবে সেটি একান্তই ব্যক্তিগত। আমরা যারা নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক বলে দাবি করি, তারা কখনোই ব্যক্তির অধিকারের সীমা অতিক্রম করব না।
কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যারা ব্যক্তির অধিকারকে মানেন না। তারা চান তাদের রুচিতেই সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠুক। তারা ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে, বিশ্বাসে-অবিশ্বাসে, ধর্মে ধর্মে মানুষকে যাচাই করতে চান। মানুষকে মানবিকতা দিয়ে যাচাই করতে তাদের ভীষণ আপত্তি। তাদের আপত্তিটাই আসলে ঘৃণা। কেননা তারা মানুষের হৃদয়, মানুষের চেহারা কিংবা তার ভাবনা বা আদর্শের তোয়াক্কা করেন না। তাদের কাছে মানুষের পরিচয় কেবলই আপনাপন ধর্ম, কিংবা ধরুন নিজের পছন্দ মাফিক।
এবং আশ্চর্যজনক ভাবে তার পছন্দ- অপছন্দ কিংবা ঘৃণা অথবা ভালোবাসা- তার চেহারাতেই প্রবলভাবে ফুটে ওঠে। আর কেউ সেটা দেখতে পান কি পান না- আমি জানি না, কিন্তু আমি দেখতে পাই। হোক সে ঘৃণা অথবা ভালোবাসা।
কেননা তাদের কাছে মানুষ বড় নয়, বড় মানুষদের কাছে নগণ্য যা, আমিও তাই। কিংবা তার চেয়েও নগণ্য কোনো একজন।