আরবি ভাষায় একটি শব্দ আছে- ‘গিবত’। গিবত শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ পরনিন্দা করা বা কুৎসা। কারও পেছনে সমালোচনা করাকে ইসলামি পরিভাষায় কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে কারও অনুপস্থিতিতে তার সমালোচনা করা বা অন্যের সামনে খুঁত বা ত্রুটি তুলে ধরা ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ও অনেক বড় পাপ।
আমাদের ইসলাম ধর্মে অনেক বড় যে পাপ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে ব্যভিচারকে। কুৎসাকে সেই ব্যভিচারের সঙ্গে তুলনা করে ইসলাম বলছে, অন্যের নামে কুৎসা রটানো ব্যভিচারের চেয়েও জঘন্য। যিনি অন্যদের নামে কুৎসা রটান তার কোনো পাপ ক্ষমা করা হয় না। এমনি আরও আরও অনেকভাবে অন্যের নামে কুৎসা রটানোয় ইসলাম নিরুৎসাহিত করেছে।
এ তো গেল ধর্মের কথা। কিন্তু কেউ যদি ধার্মিক না হন কিংবা যদি ইসলাম ধর্মের অনুসারী না হন তাহলে তো তার কাছে গিবত বা কুৎসা যে হারাম তার কোনো মূল্যায়ন থাকবে না, তাই না?
ব্যাপারটা অমন নয় আসলে। পৃথিবীর কোনো ধর্মই নিন্দিত কোনো কাজকে সমর্থন করে না। সকল ধর্মই উৎকৃষ্ট কাজ করতে অনুপ্রেরণা দেয়। আর আমরা মানুষেরাও অশুভকে নয়, শুভকেই সামাজিক স্বীকৃতি দিয়ে রেখেছি। সেকারণেই আমাদের ভাষাতে সু এবং কু আলাদা করে রেখেছি। কুৎসা সেই কু-সমাজেরই অন্যতম প্রতিনিধি। আসুন আমরা কুৎসাকে বর্জন করি। কেননা কুৎসা বা গিবত নিকৃষ্টতম পাপ।