গাজা…
এই নামটি আজ কেবল এক ভূখণ্ডের পরিচয় নয়—এটি মানবতার ক্ষতচিহ্ন, বিশ্বের বিবেকের আয়না।
ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা শিশু, মা, স্বপ্ন—সবই যেন পরিণত হয়েছে ক্ষমতার কোলাহলে ব্যবহৃত উপকরণে।
মানুষ মরছে, অথচ কেউ কেউ এই মৃত্যুকেও কাজে লাগাচ্ছে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে।
একটি জাতির আর্তনাদ এখন পরিণত হয়েছে নির্বাচনী প্রচারের অংশে।
কে গাজার পাশে, কে বিপক্ষে—এই বিভাজনের রাজনীতি আবার নতুন করে উত্তপ্ত করছে নির্বাচনমুখী পৃথিবীকে।
বোমা আর বারুদ যখন ধ্বংস করছে শহর, তখন কিছু নেতা সেই ধ্বংসের ভেতর থেকেও খুঁজে নিচ্ছেন নিজেদের ভোটের ভাষা।
গাজার শিশুদের কান্না তাই আজ পরিণত হয়েছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের প্রতিধ্বনিতে—যেখানে মানবতার আহাজারি হারিয়ে যায় প্রচারের কোলাহলে।
গাজা আজ এক কুৎসিত রাজনীতির বড় হাতিয়ার।
যেখানে বিবেকের চেয়ে বেশি মূল্য পায় ক্ষমতা, আর মানবতার চেয়ে বেশি আলো পায় প্রচারণা।
এই পৃথিবীতে সত্য লুকিয়ে থাকে মিডিয়ার কৌশলে, আর ন্যায়ের ভাষা বদলে যায় স্বার্থের অভিধানে।
কিন্তু ইতিহাস জানে—কোনো রাজনীতি চিরকাল টিকে থাকে না, টিকে থাকে কেবল মানবতার জয়গান।
একদিন এই ধ্বংসের শহরেই হয়তো শিশুরা আবার ফুটবল খেলবে, বাতাসে ভাসবে হাসির শব্দ।
তখন পৃথিবী বুঝবে—মানুষের মৃত্যুতে যারা রাজনীতি করেছে, তারা আসলে নিজেরাই পরাজিত।
মানবতা মুক্তি পাক — কুৎসিত রাজনীতি নিপাত যাক।
কারণ পৃথিবী তখনই সত্যিকার সুন্দর হবে,
যখন শিশুদের কান্না আর ক্ষমতার প্রচারণার অংশ হবে না,
বরং হবে আশার সুর, নতুন ভোরের গান।
ভালো থাকবেন, ভালোবাসবেন।
