আপনার যদি আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি থাকে তাহলে আপনি কিছু না করেও ক্ষমা চাইবেন। না না, এটা ‘এক্সকিউজ মি’ কিংবা ‘স্যরি’ নয়, এটা ‘অ্যাপোলোজাইজ’। চলুন, আত্মবিশ্বাস কি সেটি আগে জেনে আসি। আত্মবিশ্বাস হলো আপনার দক্ষতা এবং দক্ষতা সম্পর্কে আপনার মনোভাব। মানে আপনি নিজেকে বিশ্বাস করেন, নিজেকে নিয়ন্ত্রণও করতে পারছেন। আপনি আপনার ক্ষমতা ও দুর্বলতা কি সেটা জানেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপারটা হলো নিজের সম্পর্কে আপনি ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। আত্মবিশ্বাসী মানুষ মানে আশাবাদী মানুষ। তিনি জানেন তার লক্ষ্যটি কি। সেকারণে তিনি নিজের সম্পর্কে করা অন্যের সমালোচনা গ্রহণ করতে পারেন।
ফলে আত্মবিশ্বাসী মানুষ হুট করে ক্ষমা চাইবে না। তিনি সমালোচনা শুনবেন এবং তা থেকে নিজের ভুল পদক্ষেপটি খুঁজে বের করবেন। তারপর নিজেকে শোধরাবেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে ক্ষমা চাওয়া আসলে কোনো সমাধান নয়। ক্ষমা চাওয়ার অর্থ হলো ঝামেলা এড়িয়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কৌশল। ক্ষমা চাওয়া বন্ধ করুন! আপনার সঙ্গে যদি কারও ধারণা না মেলে তবে নিজের ধারণাটি ব্যাখ্যা করে তাকে বোঝান। আপনার লক্ষ্যটি ঠিক থাকলে অন্যেরা কি বলবে সেটা নিয়ে ভীত হবেন না। আপনার আত্মবিশ্বাস আপনাকে জানাচ্ছে, আপনি দক্ষ, যোগ্য এবং প্রতিভাবান। যদি এমনটা হয়ে থাকে আপনার ভাবনা তাহলে আপনি নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য মানুষ। ভাববেন না আমি রাজনৈতিক অঙ্গনে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা বলছি। হ্যাঁ, রাজনীতিতে যোগ্য লোক দরকার। কিন্তু নেতৃত্ব দেওয়া মানেই রাজনৈতিক নেতা বনে যাওয়া- ব্যাপারটা এমন নয়। আর.এম. স্টোগডিল জানাচ্ছেন, প্রত্যাশা পূরণ ও পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষার জন্য একটি কাঠামোর সৃষ্টি ও সংরক্ষণ হলো নেতৃত্ব।
তাহলে যিনি তার ছোঁয়ায় থাকা মানুষদের চাওয়াগুলো পূরণ করে সম্পর্ক রক্ষা করতে পারেন তিনিই নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্যতা রাখেন। তিনি হতে পারেন আপনার কাছের কোনো বন্ধু, হতে পারেন কোনো প্রতিবেশী, আপনার সহকর্মী, আপনার অফিসের বস্ অথবা পরিবারের কেউ। দেখা যাচ্ছে তারা সকলেই আপনার কাছের মানুষ। তারা চাইবেন না আপনাকে সমস্যায় ফেলতে। সেকারণে তারা যদি আপনার ভুলটি ধরিয়ে দেন, আপনি ক্ষমা চেয়ে যদি সেটা সামলে নিতে চান- সেটা আপনার জন্যেই শুভ হবে না। নিজের ওপরে আপনার যে আস্থা ও বিশ্বাস, সেটাকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপটি শুধরে নিন।