আপনাদের সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা। আমি সত্যিই আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
গেল ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় লাগার্ডিয়া মেরিয়ট হোটেলে আমাদের ‘দ্য জেনারেশন’ পত্রিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ সংখ্যাও প্রকাশ করা হয়েছে। আপনারা যারা আমাদের আমন্ত্রণ রক্ষা করে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আমাকে সন্মানিত করেছেন -আপনাদের সকলকে আমার সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা।
ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ‘নো বাডি ইজ পারফেক্ট’- পৃথিবীতে কেউই নিখুঁত নয়। মানুষই যদি নিখুঁত না হয় তাহলে মানুষের কাজ কি করে নিখুঁত হবে? হবে না। হয়ও না। কিন্তু মানুষের দায়িত্ব হলো নিখুঁত হওয়ার চেষ্টাটি করে যাওয়া। নিজেকে ও নিজের কাজকেও সেভাবেই উপস্থাপন করা।
আমাদের ‘দ্য জেনারেশন’ পত্রিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজনটিও নিখুঁত ছিল না। অনেক রকমের ঘাটতি ছিল। তবে সেসব ঘাটতি নির্মূল করে আয়োজনের প্রচেষ্টাটি আমাদের ছিল। কিন্তু ওই যে, কেউই নিখুঁত নয়, তেমনি কিছুই নিখুঁত নয়! তাই খুঁত রয়েই যায়।
আপনারা অনুষ্ঠানে সকল খুঁতগুলোর দায় কাউকে দিতে যাবেন না। কেননা দায় আসলে কারও নয়ও- এই দায় শুধুই আমার। আমি সকল দায় মাথা পেতে নিলাম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ ক্ষোভ জানিয়েছেন। এটি আমার ভালো লেগেছে। ‘নো বাডি ইজ পারফেক্ট’ কেন জানেন তো? শেখার জন্যে মানুষের ভুলগুলোই তার সত্যিকারের শিক্ষক। আমি যদি নিখুঁত হতাম তাহলে তো জীবনে কিছুই শেখা হতো না। মানুষ যেন জানতে পারে, শিখতে পারে- এই অভিপ্রায় থেকেই তো প্রকৃতি নিয়ম বানিয়ে রেখেছে- ‘নো বাডি ইজ পারফেক্ট’।
আপনারা ‘দ্য জেনারেশন’-এর জন্য আয়োজন অনুষ্ঠানের খুঁতগুলো ক্ষমা করবেন। ‘দ্য জেনারেশন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়া সকল অতিথিকে আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা- সঙ্গে অনেক শুভেচ্ছা।