মানুষকে দুই ভাবে মনে রাখে পৃথিবী।
ভূ-তাত্ত্বিকরা বলছেন পৃথিবীর সাড়ে চারশ’ কোটি বছর বছর থেকে সামান্য বেশি। এই সামান্য মানে কতটা জানেন? ৪৩ বছর। পৃথিবীর হিসেবে ৪৩ বছর একটি আঁচড়ও নয়। কিন্তু আমাদের কারও কারও জন্যে একটি জীবনও বটে।
অথচ এই মানুষেরা পৃথিবীকে বদলে দিয়েছে। অনেক কিছু গড়েছে যেমন, তেমনি ধ্বংসও কম করে নি। করেছে, করছে, করেই চলেছে।
কিন্তু দেখুন, বেশির ভাগ মানুষই শত বছরও বাঁচে না। বাঁচে অবশ্য কেউ কেউ- সেটা ব্যতিক্রম। ব্যতিক্রম কখনও নিয়ম হয় না। তাছাড়া কর্মঠও থাকেন না তারা। এটি আপনি জানেন, আমি জানি, সকলেই জানে। তবুও নানান রকমের বিলাসিতা অর্জন করতে মানুষের সে কি প্রাণপণ চেষ্টা! পুরো জীবনটা জুড়েই ছুটতে থাকে সে। যে অর্জনটুকু ইতোমধ্যেই করেছে, সেটিও উপভোগ করতে পারে না তাই।
মানুষের সঙ্গে জীবনের কি নিদারুণ কৌতুক!
জীবন মানুষের সঙ্গে এই যে কৌতুক করছে এর কারণ কি তবে প্রতিশোধ? নিজের বুকে মানুষকে জায়গা দিয়েছে যে তাকে কুক্ষিগত করার, ধ্বংস করতে চাওয়ার প্রতিশোধ? কথা ছিল নিজের মেধা দিয়ে জ্ঞানে বিজ্ঞানে সৃজনশীলতায় মানুষ জীবনকে, প্রকৃতিকে আরও উন্নত করবে। কিন্তু মানুষ তো কথা রাখে নি। রাখছে না এখনও।
সাড়ে চার বিলিয়ন বছর বয়সের পৃথিবীর কাছে ৪৩ বছর যেমন একটি আঁচড়ও নয়, নয় তে৩মনি আশি বা একশ’ বছরও। কিন্তু আপনার আমার জন্যে পুরো একটি জীবন। আমরা যদি সারা জীবনের মেধা দিয়ে জ্ঞানে বিজ্ঞানে সৃজনশীলতার কাজ দিয়ে একটি আচড়ও কাটতে পারি তবেই আমাদের আগামী প্রজন্ম উপকৃত হবে। কাজে আসবে পৃথিবীর। সেই সঙ্গে আমাদেরকে মনে রাখবে- ধ্বংসের জন্যে নয়, গড়ার জন্যে। আসুন আমরা গড়ার জন্যে কাজ করি।