হৃদয়ে ধারণ করা ইতিহাস কি কোনোদিন মুছে ফেলা যায়?
যে পথ ধরে হেঁটেছে বিজয়,
যে মাটিতে মিশেছে রক্ত, ঘাম আর স্বপ্ন—
সেই পথ কি কেবল ইট-পাথরের ভাঙন দিয়ে শেষ করা যায়?
এক সাগরের রক্ত ঢেলে যারা এ দেশ স্বাধীন করেছিল,
তাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কেমন করে বলবে—
“তোমাদের ইতিহাস, তোমাদের স্মৃতি,
আমরা ভেঙে দিচ্ছি, ভুলে যেতে বলছি?”
‘মৃত্যুঞ্জয়’ তো কেবল একটি নাম নয়—
তা প্রতিটি শহীদের ঋণস্মরণ।
তা সেই প্রাচীর, যেখানে লেখা ছিল
একটি জাতির আত্মত্যাগের উপাখ্যান।
তাদের জবাব দেবে কী করে?
কী বলবে সেই মাকে, যে ছেলেকে পাঠিয়েছিল যুদ্ধের ময়দানে?
কী বলবে সেই শিশুকে, যে এখনো বাবার ছবি আঁকে
ভাঙা দেয়ালের ওপরে?
না—ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।
তা হৃদয়ে লেখা থাকে।
যতই ভাঙো, যতই ঢাকো—
জনতার মননে তা আবার গড়ে উঠবে।
প্রতিরোধ হবে, প্রতিবাদ হবে—
কারণ ইতিহাসই জাতির আত্মা।
আমি কারও রাজনৈতিক পতাকার নিচে দাঁড়িয়ে কথা বলি না।
কারণ তারা কেউ ভাবে না দেশের কথা—
তারা ভাবে কেবল নিজেদের কথা।
ক্ষমা করবেন, বীর সন্তানরা—
ক্ষমা করবেন আমার না পারা কলমকে।