সংস্কার হলো শোধন, শুদ্ধি, পরিষ্করণ, মন্ত্রাদি। উৎকর্ষসাধন বলা যেতে পারে, উন্নতিসাধনও বলা যায়। তবে সহজ কথায় মেরামত করা মনে হয়। সংস্কার ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করে। কেননা সংস্কার যিনি করেন তাতে সংস্কারকের মানসিক ছাপ থাকে।
মানুষ তো ভুল করবেই, প্রয়োগের পরেই ভুলটা জানা যায়। জানা গেলেই ভুল শোধরানো যায়। ফলে ভুল স্বীকার করার মানসিকতাটা জরুরি। যার ভেতরে স্বীকারের মানসিকতা থাকে না, তাকে দিয়ে সংস্কার আশা করাটা বোকামি। সেকারণে আগে আত্মার সংস্কার প্রয়োজন। ব্যক্তি কখনও সমষ্টি থেকে আলাদা নয়, ফলে আত্মসংস্কার কেবলই বা একান্তই নিজের একলার ব্যাপার নয়।
জীবনে ক্লান্তি থাকে, স্বপ্ন থাকে, কষ্ট থাকে, লোভও থাকে। এসবকে ধারণ করেই এগিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এসবের কাছে যে পরাজিত হওয়া যাবে না— এই ভাবনাও ধারণ করতে হয়।তবে যথাযথ মেরামত করা যায়— নিজেকে, সমাজকে এবং রাষ্ট্রকেও।
আত্মসংস্কারের এই ভাবনাকে বলে আত্মশুদ্ধি। মানুষ শুদ্ধ হয় না, কিন্তু তার ভাবনা তাকে শুদ্ধ করে। আদর্শ মানুষ জন্মায় না, তৈরি হয়। নিজেকেই নিজে তৈরি করতে হয়।
ভালো থাকবেন🤗ভালোবাসবেন।