প্রতিযোগিতা হলো নির্দিষ্ট কোনো একটি বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা। প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে নিজেকে সেরা বলে প্রমাণ করতে চাওয়াটিই প্রতিযোগিতা। প্রচলিত ভাষায় আমরা যাকে বলি জিতে যাওয়া কিংবা হেরে যাওয়া। কোনো একটা প্রতিযোগিতা যখন হয়, তখন কি ঘটে? সোজা কথায় এর উত্তর হলো দারুণ একটা উত্তেজনা ঘটে। মজার ব্যাপার হলো প্রতিযোগিতার লক্ষ্যটি মুখ্য উদ্দেশ্য হলেও উত্তেজনার এই সময়টুকুই মূলত উপভোগ্য।
বলা হয়ে থাকে যে, জয়লাভই প্রধান নয়, অংশগ্রহণই করাটাই প্রধান। প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে ব্যক্তি তার কুশলতা জানতে পারে, জানতে পারে দক্ষতা অথবা আপন নৈপুণ্য। একই সঙ্গে সেসবের মূল্যায়নটিও করতে পারে। সেকারণে যখন কেউ প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হন তখন তিনি তার সবটা ঢেলে দিতে চেষ্টা করেন। এই চেষ্টা থেকেই সে প্রতিযোগিতা উপভোগ্য হয়। এবং ঠিক এই কারণেই প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের চেয়ে মাঝখানের ওই সময়টুকুই আমার কাছে লোভনীয়। ওই সময়টুকুই আমাকে জানায়, আমি নিজেকে ছোট ভাবছি না, জানায় আমি অযোগ্য নই, যোগ্যতা প্রমাণ করতে পরাজয়ের ঝুঁকি নিতে পারি। এবং আমি হাল ছেড়ে দেওয়া মানুষ নই।
তাহলে প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার পাই বা না পাই- সেটি আর তখন বিবেচ্য থাকে না। বিবেচনা হয় এবারে যদি নাও হয়, পরেরবারে হবে। নয়ত তার পরেরবার। এই যে আশা- এরই নামই তো জীবন।
তাই নয় কি?