মেমোরিয়াল ডে: জাতির আত্মত্যাগীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা

0 comments 36 views 3 minutes read

সোমবার পালিত হলো আমেরিকার মেমোরিয়াল ডে—যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশের সেবায়, তাঁদের প্রতি নিবেদিত একদিন

আজ সারা আমেরিকায় পালিত হচ্ছে মেমোরিয়াল ডে—দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী সকল সামরিক সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন। প্রতিবছর মে মাসের শেষ সোমবারে পালন করা এই দিনটি একদিকে যেমন জাতীয় শোকের, তেমনি বীরত্বের গৌরবগাঁথা স্মরণ করারও এক ঐতিহাসিক উপলক্ষ।

নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন, ক্যালিফোর্নিয়া সহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে এদিন আয়োজিত হয়েছে র‍্যালি, ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, সামরিক কুচকাওয়াজ এবং বিশেষ প্রার্থনাসভা। আরলিংটন ন্যাশনাল সেমেটারিতে প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে Unknown Soldier-এর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

Memorial Day–এর ইতিহাস
১৮৬৮ সালে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের পর শুরু হয় “Decoration Day” নামে, যা পরে “Memorial Day” নামে পরিচিতি পায়। ১৯৭১ সালে এটি সরকারিভাবে জাতীয় ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়। এই দিনটি শুধু মার্কিন সেনাবাহিনীর নয়, বরং দেশের জন্য যাঁরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাঁদের সম্মান জানানোর প্রতীক হয়ে উঠেছে।

সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ
নিউ ইয়র্ক সিটির কুইন্স এলাকায় দেখা গেছে স্থানীয় স্কুলের শিক্ষার্থীদের একটি ছোট্ট শোভাযাত্রা। তাঁরা হাতে তুলে ধরেছে “Thank You, Soldiers” লেখা প্ল্যাকার্ড। একজন প্রবীণ যুদ্ধপ্রাপ্ত সেনা বলেন, “এই ভালোবাসাটাই আমাদের আত্মত্যাগকে অর্থবহ করে তোলে।”

দায়িত্ব ও বার্তা
স্মরণ দিবস শুধু অতীতকে সম্মান জানানোর দিন নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য আমাদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়। শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সহমর্মিতা প্রদর্শন—এই মূল্যবোধগুলো রক্ষা করাই হবে তাঁদের আত্মত্যাগের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।

আজকের দিনে আমরা কেবল এক মিনিট নীরবতা পালন করি না, আমরা তাঁদের স্মরণ করি যাঁরা আমাদের জীবনের প্রতিটি নিরাপদ নিঃশ্বাসের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন নির্ভয়ে, নিঃস্বার্থভাবে।

শেষ কথা:
ভালো থাকুন, ভালোবাসুন। আর ভুলে যাবেন না তাঁদের—যাঁরা আর কোনো দিন ফিরবেন না, কিন্তু যাঁদের আত্মত্যাগে আমরা প্রতিদিন বাঁচি।

Leave a Comment

You may also like

Copyright @2023 – All Right Reserved by Shah’s Writing