মানসন্মান: এক প্রজন্মের গর্ব, আরেক প্রজন্মের গলায় ভার

0 comments 59 views 2 minutes read

পূর্বপ্রজন্মের কাছে,
“মানসন্মান” ছিল অস্তিত্বের প্রতীক।
তারা বিশ্বাস করতেন—
মানসন্মান না থাকলে জীবন অর্থহীন।
সমাজ কী ভাববে, পরিবার কী বলবে—
এই প্রশ্নগুলো ছিল তাদের চালিকা শক্তি।
তারা নিজেদের স্বপ্নকে অনেকসময় বিসর্জন দিয়েছেন
শুধু এই সামাজিক মর্যাদা রক্ষার জন্য।

যেমন:
একজন বাবা হয়তো ছেলে হতে চেয়েছিলেন চিত্রশিল্পী,
কিন্তু ‘মানসম্মান’ রক্ষার্থে হয়েছেন একজন সরকারী কর্মচারী।
একজন মেয়ে প্রেমে পড়েছিলেন নিজের পছন্দের মানুষের,
কিন্তু ‘পরিবারের মুখ রক্ষা করতে’ বিয়ে করেছেন অন্যকে।

এই প্রজন্ম—মিলেনিয়ালস এবং Gen Z—এর কাছে,
“মানসন্মান” অনেকটাই questionable currency।
তারা বলে,
“সম্মান যদি নিজেকে বিকিয়ে দিয়ে আসে, তবে সেটা কি আদৌ সম্মান?”
তাদের কাছে সম্মান মানে—নিজেকে ভালোবাসা, নিজের মতো করে বাঁচা।
তারা নিজস্ব পরিচয় গড়তে চায়,
এবং ‘লাভ, রেসপেক্ট, লাইফস্টাইল’—সবকিছুর সমান গুরুত্ব চায়।

তারা বিশ্বাস করে,
মানসন্মান এমন কিছু নয় যা বাইরে থেকে আসে,
এটা আসে ভেতর থেকে, নিজের কাজ, নিজের সিদ্ধান্ত, নিজের সত্য থেকে।

এটাই দ্বন্দ্বের জায়গা:
পূর্বপ্রজন্ম যেখানে সম্মান মানে ছিল সমাজে অবস্থান,
এ প্রজন্ম সেখানে বলে—“আমি যদি নিজেকে সম্মান না করি, তাহলে অন্যরা করবে কেন?”

তাহলে কোন দৃষ্টিভঙ্গি সঠিক?

উত্তরটা একরৈখিক নয়।
সম্মান এক জটিল সামাজিক ধারা—
যা সময়, সংস্কৃতি ও প্রজন্মভেদে রূপান্তরিত হয়।

পূর্বপ্রজন্মের আত্মত্যাগ তৈরি করেছে সামাজিক শৃঙ্খলা,
আর এই প্রজন্মের প্রশ্ন তোলাই তৈরি করছে আত্ম-অনুসন্ধান ও পরিবর্তন।

একটা প্রজন্ম শিখিয়েছে দায়িত্ব নিতে,
অন্যটা শিখাচ্ছে নিজেকে ভালোবাসতে।

আর হয়তো সম্মান আসবে তখনই,
যখন এই দুই চেতনার মধ্যে তৈরি হবে সংলাপ।

ভালো থাকবেন🤗ভালোবাসবেন।

Leave a Comment

You may also like

Copyright @2023 – All Right Reserved by Shah’s Writing