আপনি যা করেন তা আপনাকই। আপনি যা বলবেন তা নয়। আপনি কি করবেন না করবেন সেটি একান্তই আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেননা আপনার জীবনটা আপনারই। ওতে কারও কোনো অধিকার নেই- একদমই নেই। আপনার ওপর আপনারই একলারই অধিকার। অধিকার মানে হলো নৈতিক দাবি। মানেটা তাহলে দাঁড়াচ্ছে আপনি যা খুশি করতে পারেন বটে কিন্তু সেটি যদি অনৈতিক হয়- তাহলে আপনি সমালোচিত হবেন। রাষ্ট্রের আইনের কাছে যদি অনৈতিক হয় তাহলে আইন আপনাকে শাস্তি দিবে। ফলে আপনি চাইলেই যা খুশি তা করবেন- সেটি মেনে নেওয়ার অধিকার অন্যদের রয়েছে, সে হোক আপনার বাবা কিংবা মা, স্বামী কিংবা স্ত্রী অথবা সন্তান।
করবার সঙ্গে বলবার একটা পার্থক্য আছে। যা খুশি করবার মতো যা খুশি তা আপনি বলতে পারবেন না। কেননা আপনি যেটাকে করবার উপযোগী ভেবে করে ফেলছেন, সেটি আমার কাছে অনুচিত মনে হতেই পারে। আর আপনার যেমন নিজের ওপর শতভাগ অধিকার রয়েছে, তেমনি আমারও নিজের শতভাগ অধিকার আছে। ফলে আপনার সিদ্ধান্ত কেবলই আপনার। আপনি তাতে আমার সমর্থন দাবি করতে পারেন না। এইটি একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। আপনি সকলই করতে পারেন, সকলই বলতে পারেন- কিন্তু আপনার সে করা কিংবা বলায় অন্যে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, বিরক্ত না হন।
মনে রাখবেন, আপনার আচরণে কারও ক্ষতি হলে আপনি অপরাধী এবং আপনার উচ্চারণে কেউ বিরক্ত হলে আপনি একজন অভদ্রলোক। আচরণ হলো মানুষের প্রকৃতিজাত স্বভাব। আপনার প্রকৃতিজাত স্বভাবটি কি সেটা আপনিই ঠিক করুন।
81
previous post