বিশ্বাসহীনতার বৃষ্টি কখনো সুখ আনে না
আমাদের অনেকেই ভাবি, সন্দেহ করা সচেতনতার চিহ্ন। মনে করি, মানুষকে যাচাই করা, শকুনের চোখে সবকিছু খুঁজে দেখা মানেই বুদ্ধিমানের কাজ।
কিন্তু আসলে অতিরিক্ত সন্দেহ কিছুই নয়—একটি মানসিক রোগ। এর নাম অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার (Obsessive Compulsive Disorder), সংক্ষেপে OCD।
যিনি অতিসন্দেহপ্রবণ, তার ‘বিশ্বাস’ সবসময় প্রশ্নবিদ্ধ থাকে।
তিনি কাউকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারেন না।
নিজেকে নিয়েও দ্বিধা আর শঙ্কায় ভোগেন।
সেই বিভ্রান্তি তার মনকে ক্রমশ বিষিয়ে তোলে।
ধীরে ধীরে তার কথাবার্তা, আচরণ আর মনের অস্থিরতা অন্যদের জীবনেও ছড়িয়ে পড়ে।
আমরা সবাই জানি—বিশ্বাসের সম্পর্কই আমাদের মানসিক শান্তি এনে দেয়।
অতিরিক্ত সন্দেহ সেই সম্পর্ককে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে।
যখন কেউ প্রতি পদে অন্যকে যাচাই করতে থাকে, বিশ্বাসহীনতার দৃষ্টি নিয়ে দেখে, তখন সে নিজের চোখেই নিজেকে ছোট করে।
আর অন্যদের কাছেও একসময় ছোট হয়ে যায়।
সন্দেহবাতিকগ্রস্ত মানুষ একজন অসুখী মানুষ।
কারণ সে নিজের মনের শান্তি হারিয়ে ফেলে।
আর তার চারপাশের প্রিয় মানুষদেরও অস্থির আর বিষণ্ণ করে তোলে।
সুখী মানুষ হওয়ার প্রথম শর্তই হলো—সন্দেহের রোগ থেকে মুক্ত হওয়া।
যেখানে বিশ্বাস থাকে, সেখানেই ভালোবাসা থাকে।
যেখানে ভালোবাসা থাকে, সেখানেই সুখ আসে।
চলুন, আমরা বিশ্বাস করতে শিখি। নিজের মন থেকে অযথা সন্দেহ দূর করি। সুখী হই, অন্যকেও সুখী থাকতে দিই।
⸻
💬 ছোট্ট উক্তি:
“যেখানে সন্দেহ বাসা বাঁধে, সেখানে সুখ পালিয়ে যায়। বিশ্বাস ফিরিয়ে আনলে তবেই সুখের ঘ্রাণ পাওয়া যায়।”
ভালো থাকবেন 🤗 ভালোবাসবেন।