লেখালেখির প্রধানতম সমস্যা ও সুবিধা একই- কি লিখব কিংবা কেমন করে লিখব সেটি আগে থেকে কখনই জানা যায় না। অনেক সময়ই দেখা যায় লিখতে বসেছি ঠিকই কিন্তু ওই যে, কি লিখব বা কেমন করে লিখব-সেটি বুঝতে পারছি না।
আজও ঠিক এইটিই ঘটল আবার। আজ বেশ ক’বার লিখব বলে বসলাম, কিন্তু লেখা হয়ে ওঠে নি কিছুই। তবু, হাতের মুঠোর কলম, অথবা বুকে বাঁধা মন সরতে চাইছিল না কিছুতেই। তখন লিখতে গেলে ‘কি লিখব’র চেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় ‘কেমন করে লিখব’ প্রশ্নটি।
কিন্তু লেখালেখি তো জীবনের মতো। প্রাণ আছে তার, কেননা থাকতে হয়। লেখাতে যদি প্রাণ না থাকে তবে সে লেখা আর লেখা হয়ে ওঠে না। পড়েও না কেউ। লিখেও পাওয়া যায় না স্বস্তি। লেখালেখি তাই জীবন্ত। জীবনের মতো আমৃত্যু তাড়িত করে লেখককে।