যদি কিছু মনে না করেন
আমি গভীরভাবে ব্যথিত হই, যখন দেখি কিছু মানুষের স্বভাবজনিত কারণে গোটা সমাজ, এমনকি একটি জাতি, বিব্রতবোধ করে—লজ্জিত হয়।
আমার প্রশ্ন: কেন এমন একটি দেশে, যেখানে স্বাধীনতা ও সুযোগের অভাব নেই, সেখানে মানুষ ঘন্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে খাদ্যের লাইনে? আমি বহুবার জানতে চেয়েছি—এই অভাব কি সত্যিকারের, না কি এটা আমাদের অভ্যাস, আমাদের মানসিকতার একটি প্রতিচ্ছবি?
আমি হলফ করে বলতে পারি—৯৯% মানুষ এই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে অভাবের কারণে নয়, বরং একধরনের স্বভাবগত নির্লজ্জ অভ্যাসের কারণে।
কারণ আমি বিশ্বাস করি—যারা সত্যিকারের অভাবগ্রস্ত, তারা অনেক বেশি আত্মসম্মানবোধে ভরপুর। তারা কষ্ট করেন, তবু অন্যের কাছে হাত পাততে দ্বিধা বোধ করেন। তারা চুপচাপ সহ্য করেন, সম্মানের সাথে বাঁচার চেষ্টা করেন।
হ্যাঁ, এই দেশ freedom of speech-এর অধিকার দেয়, কিন্তু সেই স্বাধীনতা কি আমাদের এ অধিকারও দেয়—যা দিয়ে নিজের জাতিকে, নিজের সমাজকে ছোট করে তোলা যায়?
আমার প্রশ্ন রেখে গেলাম সবার বিবেকের কাছে।
এই কি আমাদের অভাব?
না কি এটা আমাদের স্বভাব?
আমি আমার দেশকে, আমার জাতিকে ভালোবাসি—খুব গভীরভাবে।
এই ভালোবাসা থেকে আমার এই প্রতিবাদ।
ভালো থাকবেন ভালোবাসবেন।