মানুষ চিরকালই মুখোশ পরেছে—
কারও সামনে নিজেকে নিখুঁত দেখাতে,
কারও কাছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে,
আবার কখনো নিজের ভেতরের যুদ্ধ লুকাতে।
এই মুখোশ কখনো হাসির,
যা লুকিয়ে রাখে গভীর বিষাদ;
কখনো বিনয়ের,
যার আড়ালে লুকিয়ে থাকে অহংকারের বিষবৃক্ষ;
আবার কখনো তা হয় বন্ধুত্বের,
যার নিচে জমে থাকে ঈর্ষা, প্রতিযোগিতা, কিংবা ঠাণ্ডা প্রতিশোধ।
মানুষের মুখ যতটা চেনা,
তার অন্তর ততটাই অচেনা।
কেউ সামনে আপন, পেছনে অচেনা;
আবার কেউ সব শব্দের বাইরে থেকেও—হৃদয়ে গেঁথে থাকে আজীবন।
মুখোশের আড়ালে মানুষ যেমন নিজেকে বাঁচাতে চায়,
তেমনি আড়াল করে ফেলে সত্যিকারের সম্পর্ক, আস্থা, আর স্পর্শযোগ্য অনুভবগুলো।
তাই অনেক সময় আমরা মুখ দেখি,
কিন্তু মন পড়তে পারি না।
চোখের চাহনি বোঝার আগেই, শব্দে বিভ্রান্ত হই।
অথচ সত্য তো সব সময় মুখোশের আড়ালেই থাকে।
যেটা সময় এলেই খুলে পড়ে, ঠিক নিজের সময়ে।