এক সময় আমরা বলতাম—মানুষ পৃথিবীর, পৃথিবী মানুষের।
একটা স্নেহের সম্পর্ক, সহাবস্থানের এক অনাবিল চুক্তি যেন গড়ে উঠেছিল এই দুয়ের মধ্যে।
পৃথিবী আমাদের জীবন দিয়েছে, আশ্রয় দিয়েছে, সৌন্দর্য দিয়েছে—আর আমরা তাকে সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ভালোবাসা দিয়ে বরণ করেছি।
কিন্তু সেই চিত্র কি এখনো আছে?
নাকি সেই চুক্তিটা আজ আর টিকে নেই?
আজ মানুষের চোখে ভালোবাসার চেয়ে ঈর্ষা বেশি,
হাতে আদরের বদলে আগুনের ছোঁয়া।
পৃথিবীর যে প্রান্তেই মন ছড়িয়ে দিই—দেখি,
মানুষের প্রতি মানুষ হয়ে উঠছে হিংস্র, অমানবিক।
সীমান্ত, ধর্ম, রাজনীতি, জাতিসত্তা—নানা নামে তৈরি হয়েছে বিভাজনের দেয়াল।
কে কাকে নিচু করবে, কে কার উপর চড়াও হবে—এই প্রতিযোগিতায় আজ মানুষ নিজেকেই ভুলে যাচ্ছে।
কোনো এক শহরে শিশুর কান্না চাপা পড়ে বোমার শব্দে,
আর অন্য কোথাও নিস্তব্ধ দুপুরে ঝুলে থাকে মানুষের লাশ—বর্ণ, বিশ্বাস বা ভাষার কারণে।
এই হিংসা, এই অমানবিকতা—
এ শুধু একটা দেশ, একটা সময় বা কিছু মানুষের সমস্যা নয়।
এ এক গ্লোবাল মেল্টডাউন—নৈতিকতা ও মানবিকতার।
মানুষের তৈরি এই ধ্বংসযজ্ঞ এখন এমন এক চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে,
যেখান থেকে ফেরার রাস্তা প্রতিদিনই সংকীর্ণ হয়ে আসছে।
মানুষ চাইছে—
জীবনের শোভা নষ্ট করে দিতে,
পৃথিবীর সৌন্দর্য মুছে ফেলতে,
সভ্যতাকে পুড়িয়ে ফেলতে।
একটা সময় তো ছিল, আমরা ফুল ফুটিয়ে, নদী বাঁচিয়ে, গল্প বলে জীবন গড়তাম।
এখন আমরা গুলি চালিয়ে, ঘৃণা ছড়িয়ে, দেয়াল তুলে বেঁচে থাকতে শিখে যাচ্ছি।
তাহলে প্রশ্ন রয়ে যায়—
এই পৃথিবী আজ কাদের?
মানুষের?
নাকি অমানবিকতার?
ভালো থাকবেন🤗ভালোবাসবেন।