একটা সময় ছিল, যখন মানুষ প্রকৃতিকে ভালোবাসত।
ভোরবেলা শিশিরে ভেজা ঘাসে হাঁটা, বৃষ্টির শব্দে মন শান্ত হওয়া, কিংবা গাছের ছায়ায় মাথা গুঁজে ঘুমিয়ে পড়া—এসব ছিল মানুষের সহজাত স্বভাব।
সেই মানুষই আজ পৃথিবীর বিপরীতে দাঁড়িয়ে গেছে।
নিজেদের লোভ, ক্ষমতার খেলা, কিংবা সীমাহীন আধিপত্যের জন্য
মানুষ এখন নিজের মতোই মানুষকে ছিঁড়ে ফেলার মতো হিংস্র হয়ে উঠেছে।
কাছের বা দূরের কেউ নয়—এই রূপান্তরের দায় মানুষেরই।
দেখা যায়, পৃথিবীর এক প্রান্তে কেউ কারো ধর্ম নিয়ে হানাহানি করছে, অন্য প্রান্তে কেউ জাতিসত্তা বা ভূখণ্ড নিয়ে রক্ত ঝরাচ্ছে। কেউ রাজনৈতিক দখল চায়, কেউ আধিপত্যের অহংকারে গলা চেপে ধরছে মানুষের।
এই হিংসা, এই অমানবিকতা—দিনকে দিন ভয়ানক হয়ে উঠছে।
মানুষ এখন আর শুধু মানুষ নয়—
সে হয়ে উঠছে সহজাত মানবিকতা হারানো এক যন্ত্র,
যার ভেতর প্রেম নেই, সহানুভূতি নেই, বোধ নেই।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন জাগে—
এই পৃথিবী কার?
মানুষের?
নাকি মানুষ নিজেই এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হুমকি?
সময় এসেছে ফিরে তাকাবার।
আমরা যদি এখনই না থামি, না ভাবি,
তাহলে পৃথিবী থাকবে—কিন্তু মানুষ থাকবে না।
আসুন, নিজেকে প্রশ্ন করি—
আমি কি এই পৃথিবীকে ভালোবাসি?
আমি কি মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষের প্রতি মানবিক আচরণ করছি?
কারণ দিন শেষে, সভ্যতার সৌন্দর্য রক্ষা করতে হলে
আমাদেরকেই আবার মানুষ হতে হবে।
ভালো থাকবেন🤗ভালোবাসবেন।