মানসন্মান—একটা মৌলিক সামাজিক চুক্তি?

0 comments 106 views 2 minutes read

মানসন্মান অনেকের চোখে হয়তো ওভাররেটেড,
তবে এটি একটি সামাজিক মুদ্রা—
যার বিনিময়ে তৈরি হয় বিশ্বাস, সম্পর্ক, ও সহাবস্থান।

আমরা যাকে ‘মানসন্মান’ বলি,
তা আসলে এক রকম সুনাম বা বিশ্বাসযোগ্যতা—
যার ভিত্তিতে একজন শিক্ষক শিক্ষার্থী গড়ে তোলে,
একজন চিকিৎসক রোগীর কাছে আস্থা পান,
বা একজন লেখক পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নেন।

যদি সবাই নিজেকে ছাড়া আর কিছু না ভাবতো,
তাহলে কি সমাজে সহযোগিতা গড়ে উঠত?
যদি ‘কি বলবে লোকে’ এই প্রশ্নটা একেবারেই না থাকতো,
তাহলে কি আমরা এতটুকু শৃঙ্খলা, এতটুকু সহমর্মিতা রাখতে পারতাম?

মধ্যবিত্ত মানুষ যখন “মানসন্মান” রক্ষা করতে গিয়ে আত্মত্যাগ করে,
তা হয়তো ব্যর্থতা নয়—
বরং একরকম সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষা।
হ্যাঁ, এতে কখনও আনন্দ কমে যায়,
কিন্তু ত্যাগের মধ্যেও তো থাকে এক ধরণের সাহসিকতা।
সবাই কি পারে নিজেকে ছাপিয়ে সমাজের ব্যাকরণ মেনে চলতে?

“মানসন্মান” হয়তো গর্বের জিনিস নয় সবসময়,
কিন্তু এটা এক ধরণের নৈতিক ভিত্তি,
যা মানুষকে সীমার মধ্যে রাখে,
অন্যের কথা ভাবতে শেখায়,
এবং নিজের জীবনকেও একটা আদর্শে বেঁধে রাখে।

এই ব্যাখ্যার মাধ্যমে বলা যায়,
“মানসন্মান” যদি ভারও হয়, তবে সেটি একপ্রকার মূল্যবান ভার—
যা মানুষকে নৈতিক ও সামাজিক সংহতির পথে রাখে।

ভালো থাকবেন🤗ভালোবাসবেন।

Leave a Comment

You may also like

Copyright @2023 – All Right Reserved by Shah’s Writing