আজ ১৬ অক্টোবর, বিশ্ব খাদ্য দিবস। পৃথিবীর প্রতিটি কোণে আজ একটাই সুর—
“খাদ্য সবার অধিকার, কারও নয় বিশেষাধিকার।”
তবু বাস্তবতার ছবি নির্মম।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই পৃথিবীতে প্রতিদিন প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পায় না, আর তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু।
কোথাও যুদ্ধ, কোথাও জলবায়ু পরিবর্তন, কোথাও অর্থনৈতিক বৈষম্য—সব মিলিয়ে ক্ষুধা আজ মানবতার সবচেয়ে নির্মম মুখ।
গাজার শিশুরা বোমার শব্দে ঘুম ভাঙে, খাবারের বদলে পায় ভয়ের স্বাদ।
আফ্রিকার শুষ্ক মাটিতে শিশুরা মায়ের কোলেই ঝরে যায় পুষ্টিহীনতার কারণে।
আর এই পৃথিবীর আরেক প্রান্তে—অতিরিক্ত খাদ্যের অপচয় হয় প্রতিদিন কোটি কোটি টন।
এ এক ভয়াবহ বৈষম্যের প্রতিচ্ছবি—একদিকে অতিরিক্ত, অন্যদিকে অনাহার।
শিশুরা ক্ষুধার্ত থাকলে, ভবিষ্যৎও ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ে।
ক্ষুধা শুধু পেটের নয়—এটি মন, মেধা, আর মানবিকতারও ক্ষয় ডেকে আনে।
একটি ক্ষুধার্ত শিশু মানেই হারিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা, ভাঙা এক স্বপ্ন, নিভে যাওয়া এক আশার প্রদীপ।
বিশ্ব খাদ্য দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়—
এই পৃথিবীকে ক্ষুধামুক্ত করতে হলে শুধু সহানুভূতি নয়, দায়বদ্ধতা প্রয়োজন।
প্রতিটি শিশুর মুখে একবেলা হাসি ফিরিয়ে দেওয়া,
প্রতিটি মায়ের হাতে একমুঠো অন্ন তুলে দেওয়া—
এটাই হোক আজকের প্রতিজ্ঞা।
ফিলিস্তিন থেকে আফ্রিকা, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা—
খাদ্য হোক মানবতার সেতুবন্ধন,
ক্ষুধামুক্ত হোক পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্ত।
ভালো থাকবেন🤗ভালোবাসবেন।