বিশ্বাস ব্যাপারটা হলো আস্থা। আমরা যাকে বিশ্বাস করি তার ওপরই আস্থা রাখি, ভরসা করি। আমাদের জীবনে এই ছোট্ট বিশ্বাস শব্দটির দারুণ প্রভাব রয়েছে। সুস্থভাবে বাঁচতে গেলে খাবার, পানীয়, অক্সিজেনের মতো বিশ্বাসটাও খুব জরুরি। যে মানুষ আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না, ব্যক্তিজীবনে সে খুব অসহায়। সে অন্যদের থেকে বেশি মানসিক চাপ নিয়ে থাকে। সকলকে সন্দেহের চোখে দেখে এবং আর সকলেও তাকে অপছন্দ করে এড়িয়ে চলে- মনে মনে একলা তারা।
আবার ধরুন অতিবিশ্বাসও ক্ষতিকর। ক্ষতিকর এই বিশ্বাসের নাম অন্ধবিশ্বাস। অন্ধবিশ্বাসীরা হয় প্রতিক্রিয়াশীল। ফলে এরা ব্যক্তি থেকে সমাজ- সকলের জন্যেই ক্ষতিকর। একইভাবে ক্ষতিকর অর্ধ-বিশ্বাসও। অর্ধ-বিশ্বাস হলো সন্দেহপ্রবণতা। এইটি সবচেয়ে ক্ষতিকর। সন্দেহপ্রবণতা হলো বিধ্বংসী। ধ্বংস করে দেয় ঘরদোর সংসার বন্ধু সমাজ মানবতা- সবকিছু। সন্দেহপ্রবণ মানুষ বস্তুত বিশ্বাসকেই সন্দেহ করে। এবং আজকের সমাজের, মানুষের বাস্তবতা হলো- আজকের মানুষের প্রধান অংশটি সন্দেহপ্রবণতাতেই আস্থা রাখতে পছন্দ করে। সবকিছুতেই তার সন্দেহ।
আমি আজকের মানুষের প্রধান এই অংশটির অংশ নই- আপনি?