প্রতিযোগিতা—এ যেন এক অদৃশ্য মঞ্চ, যেখানে প্রত্যেকে একেকজন শিল্পী। কারও হাতে তুলি, কারও হাতে কলম, আবার কারও হাতে স্বপ্ন। আর দর্শকসারি জুড়ে থাকে উত্তেজনা, প্রত্যাশা, আর সেই চিরচেনা প্রশ্ন—“কে জিতবে আজ?”
প্রতিযোগিতা মানেই তো সেরা হওয়ার জন্য এক অনন্ত ছুটে চলা। কেউ এগিয়ে যায়, কেউ পিছিয়ে পড়ে, আবার কেউ হঠাৎ থমকে দাঁড়ায়—নিঃশব্দে নিজের ভেতরের ভয়গুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে।
জয়? পরাজয়?
এই দুই শব্দই যেন প্রতিযোগিতার দুই মুখ।
কিন্তু এই মুখগুলো কি সব বলে দেয়?
না, বলে না।
কারণ প্রতিযোগিতা মানে কেবল গন্তব্যে পৌঁছানো নয়—এটি এক যাত্রা।
একটি সময়কাল, যেখানে নিজেকে খুঁজি, নিজেকে প্রশ্ন করি, আবার কখনো নিজেকেই সাহস জোগাই—
“আমি পারি। পারতেই হবে।”
আমরা বলি, “অংশগ্রহণই মুখ্য”—এই বাক্যটি অনেকেই কেবল সান্ত্বনা বলে উড়িয়ে দেয়।
কিন্তু যে ব্যক্তি একবার নিজের সবটুকু নিংড়ে কোনো প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়,
সে জানে—এই বাক্যের মধ্যে কী অদ্ভুত এক আত্মার জ্যোতি লুকিয়ে থাকে।
কারণ, প্রতিযোগিতা কেবল বিজয়ের গল্প লেখে না।
সে লেখে লড়াইয়ের গল্প, প্রত্যয়ের গল্প, প্রত্যাখ্যানের মধ্যেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার গল্প।
এই লড়াইয়ের মাঝে একটা সময় আসে—যেখানে তুমি বুঝতে পারো,
তুমি আর শুধু অংশগ্রহণকারী নও, তুমি নিজের আত্মবিশ্বাসের নির্মাতা।
এই সময়ে তুমি নিজের সীমা চিনতে শেখো, আবার তাকে ভাঙতেও শেখো।
আর তখনই প্রতিযোগিতা হয়ে ওঠে এক দর্শন—
যেখানে পরাজয় আর শুধুই হেরে যাওয়া নয়,
বরং পরেরবার জিততে চাই বলেই আজ হার মানা।
তাই তো আমি বলি,
পুরস্কার পেলে ভালো লাগে, না পেলেও খুব একটা কিছু হারাই না।
কারণ, আমি জানি—আমি চেষ্টা করেছিলাম।
এবং হ্যাঁ, আমি জানি—আমি হাল ছেড়ে দেওয়া মানুষ নই।
এই যে আশা,
এই জেদটাই তো জীবন।
তাই নয় কি?
ভালো থাকবেন🤗ভালোবাসবেন।