আমরা অনেকেই তাচ্ছিল্য প্রকাশ করতে ‘ধুত্তরি’ শব্দটা উচ্চারণ করি। যেমন, ‘ধুত্তরি কাজটা হয়েই যেত কিন্তু হঠাৎ করিমটা এসে এলোমেলো করে দিল।’
এই ধুত্তরির একটি বিকল্প শব্দ আছে- ‘ধুর’। মেজাজের নানান রকম অবস্থান বোঝাতে আমরা ‘ধুর’ শব্দটি ব্যবহার করি। যেমন ধুর শালা।
ধুর শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো জোয়াল। হালচাষ করতে গরুর কাঁধে যে জোয়াল চাপিয়ে দেওয়া হয়- সেই জোয়াল। কিন্তু আমরা অভিধানের এই অর্থ বদলে দিয়েছি।
তবে আমরা শুধুই নিজেদের বিরক্তি বোঝাতে ‘ধুর’ শব্দ ব্যবহার করি তা কিন্তু নয়। কাউকে ছোট করে দেখাতেও করি কিন্তু। যেমন, ‘ধুর মিয়া, যেটা জানেন না সেটা বলতে আসবেন না’।
মানেটা হলো, তিনি কিছুই জানেন না কিংবা যা জানেন ভুল জানেন। সঠিকটা কেবল আমি একলাই জানি। বলতে চাইছি, কেউ ভুল জানতেই পারেন কিন্তু তাকে তাচ্ছিল্য করার কোনো অধিকার আমার নেই। কারওই নেই আসলে।
মানুষ হিসেবে কোনো মানুষকেই তাচ্ছিল্য কিংবা ছোট দেখাটা সভ্যতার বাইরের একটি আচরণ। চলুন আমরা সকলের সঙ্গে সভ্য আচরণ করি। তার সঙ্গে পরিহার করি আপত্তিকর ভাষা ও শব্দ।