তোফায়েল আহমেদ— এই নামটি উচ্চারণ করলেই যেন ভেসে ওঠে আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়।
যিনি ছিলেন রাজপথের কণ্ঠস্বর, যিনি ছিলেন জনতার আশা—আর আজও, তিনি আছেন কোটি মানুষের হৃদয়ে, এক অনন্য শ্রদ্ধায়।
আমি তাঁকে “ভাই” সম্বোধন করি।
শুধু বয়স বা প্রজন্মের দূরত্ব নয়, এই “ভাই” সম্বোধনে আছে গভীর আত্মিক স্নেহ, শ্রদ্ধা, এবং একটি সুস্থ ও উদার রাজনীতির প্রতি বিশ্বাস।
তোফায়েল ভাই আমাদের সেই রাজনীতিবিদের প্রতীক, যিনি আদর্শকে ভালোবেসেছিলেন—ক্ষমতাকে নয়।
তাঁর ছাত্রজীবন, ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি হয়ে ওঠা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব—সবকিছুই তো আমাদের জাতীয় জাগরণের অংশ।
বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে কাছের মানুষদের একজন ছিলেন তিনি।
স্বাধীনতা-পূর্ব সংগ্রাম থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার অভিযানে, তোফায়েল ভাই ছিলেন অগ্রভাগের এক অটল সৈনিক।
আজ তিনি রাজনীতি থেকে দূরে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে। অবশ্য বার্ধক্যও একটি কারণ বটে। তবে এটি কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। এক জীবনে তোফায়েল যত কাজ করেছেন, বাংলাদেশকে যা দিয়েছেন, তাতে কয়েক জীবন বসে থাকলেও কোন ক্ষতি নেই। তাঁর চিন্তা, চরিত্র, এবং সংগ্রাম এই জাতির রক্তে মিশে আছে।
তোফায়েল ভাইয়ের মতো মানুষরা কখনোই হারিয়ে যান না, রয়ে যান ইতিহাসের অংশ হয়ে।
তিনি সাহসিকতার প্রতীক। জাতির সংকটময় সময়ে মাথা উঁচু করে কথা বলার আর অন্তহীন ধৈর্যের মূর্তরূপ।
এই যান্ত্রিক, সুবিধাবাদী সময়েও তোফায়েল ভাইয়ের মতো মানুষের দিকে তাকালে উপলব্ধ হয়, রাজনীতিতে আদর্শ এখনও পুরনো হয়ে যায় নি। এখনও সবকিছুর ওপরে দেশ ও জনগণের মঙ্গলকে স্থান দেওয়া যায়।
প্রার্থনা করি, তোফায়েল ভাই সুস্থ থাকুন, দীর্ঘায়ু হোন তিনি। এই জাতি তাঁকে আরও অনেকবার ফিরে পেতে চায়— এক পরিণত কণ্ঠে, এক মানবিক দর্শনে।
ভালো থাকবেন, তোফায়েল ভাই।
আপনার সংগ্রাম আর আদর্শ আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে বেঁচে থাকবে যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকে।
—দেশের একজন কৃতজ্ঞ সন্তান।
ভালো থাকবেন🤗ভালোবাসবেন।