📅 আগস্ট ১, ১৯৭১
এই দিনটি ছিল শুধুমাত্র একটি সংগীতানুষ্ঠান নয়—
এটি ছিল এক পীড়িত জাতির পক্ষে বিশ্ব বিবেকের এক মহাজাগরণ।
যখন বাংলাদেশ পুড়ছিল আগুনে,
শরণার্থীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিল কোটি,
মায়ের কোল খালি, শিশুর মুখে ক্ষুধা—
ঠিক সেই সময়,
দুই মহান হৃদয়ের মানুষ—
🎼 ওস্তাদ রবিশঙ্কর ও 🎸 জর্জ হ্যারিসন
একটি দূর দেশের, অপরিচিত মানুষের কান্না শুনেছিলেন।
তারা শুধু শুনেননি—
তারা সেই কান্নাকে নিজের করে নিয়েছিলেন।
🎶 “The Concert for Bangladesh”—
এটি ছিল না কেবল সুরের পরিবেশনা,
এটি ছিল এক মানবিক আন্দোলন।
ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেন-এর ৪০ হাজার দর্শক সাক্ষী ছিলেন—
কিভাবে সংগীত হয়ে উঠেছিল
একটি মুক্তিযুদ্ধের আত্মা।
💵 সংগৃহীত অর্থ—২,৪৩,৪১৮ মার্কিন ডলার—
গিয়েছিল ক্ষুধার্ত শিশুদের মুখে,
যুদ্ধবিধ্বস্ত মায়েদের বুকে,
শিবিরে ঠাঁই পাওয়া লাখো শরণার্থীর বেঁচে থাকার আশায়।
তারা আমাদের কেউ ছিলেন না—
তবুও তারা আমাদের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
আমাদের ভাষা বোঝেননি,
তবুও আমাদের যন্ত্রণার ভাষা বুঝেছিলেন।
তাদের এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা কোনো অর্থে মাপা যায় না।
তারা বাংলাদেশের জন্য যা করেছেন,
তা কোনো ঋণ নয়—
তা ইতিহাস।
আজ,
আমরা বাংলাদেশ নামক স্বাধীন জাতির পক্ষ থেকে
নতমস্তকে শ্রদ্ধা নিবেদন করি—
রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসন,
আপনারা আমাদের কণ্ঠে শুধু সংগীত দেননি—
আপনারা আমাদের স্বপ্ন ফেরত দিয়েছেন।
এই ভালোবাসা কখনো শেষ হবে না।
এই কৃতজ্ঞতা কখনো কমবে না।
এই ইতিহাস কখনো হারাবে না।
আপনারা আমাদের ছিলেন, আছেন, থাকবেন—
চিরকাল।
🇧🇩
ভালো থাকবেন 🤝 ভালোবাসবেন।