কৃষ্ণচূড়া—শুধু একটি বৃক্ষ নয়, এটি যেন প্রকৃতির ক্যানভাসে আঁকা এক অমর কবিতা। বসন্ত এলেই এর ডালে ডালে ফুটে ওঠে রক্তিম আগুনের ফুল, যা দূর থেকে দেখে মনে হয় যেন আকাশজুড়ে কেউ ছড়িয়ে দিয়েছে প্রেমের অঞ্জলি। কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ শুধু চোখে নয়, মনে, অনুভবে ও স্মৃতিতে জ্বেলে দেয় এক অনন্ত রোমাঞ্চ।
এই গাছটি বাংলার সাহিত্যে, কবিতায় ও চিত্রকলায় বারবার ফিরে এসেছে প্রেম, বিরহ ও প্রত্যয়ের প্রতীক হয়ে। কেউ একে দেখে প্রথম প্রেমের কথা মনে করে, কেউবা হারানো দিনের দহনকে। এ যেন বসন্তের নিঃশব্দ ভাষা—যেখানে কৃষ্ণচূড়ার প্রতিটি পাপড়ি ফোটে হৃদয়ের গভীরতম অনুভব ছুঁয়ে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন কাদম্বিনী ও কৃষ্ণচূড়ার মাঝে খুঁজে পান জীবনের অনুপমতা, তেমনি আধুনিক কবিরাও কৃষ্ণচূড়াকে কল্পনার ডানায় চড়িয়ে বানিয়েছেন প্রেমের দূত। এর নিচে দাঁড়িয়ে বলা প্রথম ভালোবাসার কথা, কিংবা নীরবে চোখে জল মুছে নেওয়া—এই গাছটি হয়ে ওঠে সেই নীরব সাক্ষী।
কৃষ্ণচূড়ার রঙ যেন রক্তিম প্রতিজ্ঞা—ভালোবাসার, জীবনের, আর অনন্ত অপেক্ষার। এই গাছ শুধু বসন্তের বার্তা বহন করে না, এটি মানুষকে মনে করিয়ে দেয় যে প্রকৃত সৌন্দর্য আবেগে, নিবেদনে ও নিঃশব্দ ভালোবাসায় নিহিত।
ভালো থাকবেন🤗ভালোবাসবেন।