ঈর্ষা—এই ছোট শব্দটার ভার কতটা গভীর, তা আমরা অনেকেই জানি… কিন্তু বলি না।
কারো সাফল্য, কারো জনপ্রিয়তা, কারো সুখের ছবি…
হঠাৎই কোথা থেকে যেন আমাদের ভেতরটা একটু নড়ে ওঠে।
কিছু একটা যেন হালকা তেঁতো লাগে—হয়তো বুকের মধ্যে, হয়তো সম্মানে।
এটাই ঈর্ষা।
ঈর্ষা অস্বাভাবিক নয়—এটি খুবই মানবিক।
তুলনার এই খেলায় আমরা সবাই কমবেশি খেলোয়াড়।
আমাদের সমাজ, শিক্ষা, এমনকি পরিবারও শিখিয়ে দেয়—কে বেশি, কে কম।
আর সেই তুলনা থেকেই জন্ম নেয় ঈর্ষা।
কিন্তু ঈর্ষারও দুটি মুখ আছে।
এক মুখ ধ্বংস করে—সম্পর্ক, আত্মবিশ্বাস, মানসিক শান্তি।
অন্য মুখ জাগায়—সচেতনতা, আত্মবিশ্লেষণ, আর নিজেকে উন্নত করার তাগিদ।
কেউ কারো ঈর্ষায় জ্বলে ওঠে,
কেউ সেই আগুনে নিজেকে শুদ্ধ করে।
আজকের দিনে, সোশ্যাল মিডিয়ার এই চকচকে জগতে ঈর্ষার মাত্রা যেন আরও বেড়েছে।
আমরা অন্যের ঝলমলে মুহূর্ত দেখি, আর নিজের জীবনের ক্লান্তিকে যেন আরও বেশি টের পাই।
কিন্তু আমরা ভুলে যাই—সব হাসির পেছনেও লুকানো থাকে কান্না,
সব অর্জনের পেছনে থাকে ত্যাগ।
তাই প্রশ্নটা থেকে যায়—
ঈর্ষার স্বাদ কেমন?
তেতো? নিশ্চয়ই।
কিন্তু সেই তেতোর মাঝেই লুকিয়ে আছে আত্মোপলব্ধির এক সম্ভাবনাময় স্বাদ—
যদি আমরা চাই সেটাকে আত্মঘাতী না করে, আত্মগঠনের পথ বানাতে।