আসুন অনুমান করা বন্ধ করি। কিন্তু অনুমান তো জরুরি একটি বিষয়। জ্ঞান অর্জনের পক্ষে অনুমান একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে স্বীকৃত। কেননা কোনো গবেষণার ক্ষেত্রে আগের ধারণার ওপর দাঁড়িয়ে সমাধানে পৌঁছুতে অস্থায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই অস্থায়ী সিদ্ধান্তই হলো অনুমান। ইংরেজিতে একে বলে হাইপোথিসিস।
আবার আপনি যদি আইনের কথা ধরেন, তাহলে অনুমান সেখানে মোটামুটি অকেজো। আইন প্রমাণ ছাড়া কিছু গ্রহণ করে না। কিন্তু একেবারেই যে করে না তাও নয়। আদালতে প্রয়োজনে অনেক সময় প্রমাণ ছাড়া অনুমানের ভিত্তিতে সাময়িকভাবে কোনো বিষয় ধরে নেওয়া হয়। ইংরেজিতে একে বলে প্রিজাম্পশন। কিন্তু অকাট্য প্রমাণ ছাড়া আদালত তার সিদ্ধান্ত নেয় না।
ঠিক একারণেই আমি শুরুতে অনুমান করা বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছি। বিষয়টি একটু পরিষ্কার করে বলতে চেষ্টা করি। আমরা নিজেরা যখন যখন কারও সম্পর্কে কোনো অনুমান করি, সেটি আসলে অনুমান থাকে না। আমাদের বিশ্বাসে পরিণত হয়। আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করি আমরা ওই মানুষটিকে যেমন ভাবছি সে ঠিক আমাদের ভাবনারই মতো। তারপর আমরা আমাদের ধারণাটি পাশের জনকে জানিয়ে দিচ্ছি। তিনি সেটি শুনছেন এবং তার সঙ্গে আরও কিছু যুক্ত করে তার পাশের জনকে বলে দিচ্ছেন।
আপনি যদি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টিকে দেখেন তাহলে দেখবেন ধর্ম আপনার এই অনুমান নির্ভর সিদ্ধান্তকে জঘন্য অপরাধ বলে গণ্য করেছে।
ফলে অনুমান করা বন্ধ করে সঠিকটা জেনে, বুঝে তারপর সেটি সুস্পষ্ট ভাবে বলে সিদ্ধান্তে উপনীত হই।