কাউকে স্মরণ করা মানে কেবল তার অস্তিত্বকে মনে করা নয়।
এটা একান্ত নিজের ভেতরে ডুবে যাওয়া,
নিজের অনুভূতির গভীরে গিয়ে স্পর্শ করা সেই জায়গাগুলোকে
যেখানে ভালোবাসা রয়ে গেছে নিঃশব্দে, অদৃশ্যভাবে।
আমার কাছে কাউকে মনে করা মানে,
আমি নিজেকে একটু বেশি অনুভব করি।
একটা নীরব বিকেলে, অথবা ব্যস্ত শহরের ট্র্যাফিকের মাঝে
হঠাৎই যখন কারো মুখ ভেসে ওঠে মনের পর্দায়—
আমি বুঝি, আমি আসলে নিজের ভেতরে ফিরে গেছি।
স্মৃতির পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে আমি পৌঁছে যাই সেই সময়ে,
যেখানে সময় ধরা পড়ে না,
শুধু ভালোবাসা থেকে যায় নিঃশব্দে, শক্তিশালী হয়ে।
ভালোবাসা কি তবে শুধু উপস্থিতির মধ্যে সীমাবদ্ধ?
না, বরং অনুপস্থিতির মধ্যেই তো এর প্রকৃত গভীরতা বোঝা যায়।
কারও স্পর্শ নেই, কথা নেই, হাসিও নেই—
তবু সে আছে, এক অন্তর্লীন অনুভবে।
স্মরণ মানে নিজের একটা অংশের দিকে ফিরে তাকানো,
যেখানে আমরা ভালোবাসতে শিখেছি, কাঁদতে শিখেছি, ক্ষমা করতে শিখেছি।
এবং সেই শিক্ষা, সেই অনুভবই তো আমাদের মানুষ করে তোলে।
আমাদের হৃদয়টাকে রাখে জীবিত, কোমল, এবং সত্য।
তাই আমি বলি—
কাউকে স্মরণ করা মানে, আমি নিজেকেই ভালোবাসি।
কারণ ভালোবাসা, স্মৃতি আর অনুভব—সবই এক সূত্রে বাঁধা।
এটাই আমার প্রার্থনা, এটাই আমার লেখালেখির মৌলিক বোধ।
ভালো থাকবেন 🤗 ভালোবাসবেন।