বিপুল এই বিপর্যয়কে সঙ্গে নিয়েই আমরা জীবনকে এগিয়ে নিয়ে চলেছি। জীবনের সকল দরকারি-অদরকারি আয়োজন সম্পন্ন করেই এগিয়ে চলেছি। ভেদাভেদহীন ভালোবাসায় মানবতাকে ভিন্ন এক মাত্রায় পৌঁছে দিতে হবে আমাদেরকে। মানুষকে, মানুষের মানবতা বোধকে পরাজিত হতে দেওয়া যাবে না। জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলমান এই বিপর্যয়কে প্রতিহত করতে হবে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস সংকটের কারণে বাংলাদেশে প্রতি চারজন যুবকের মধ্যে একজন কর্মহীন বা বেকার রয়েছে (২৭.৩৯%)। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই বেকারত্ব বাড়ছে।
করোনার প্রথম ঢেউয়ে গেল এপ্রিলের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে দুই কোটি পাঁচ লক্ষ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। আমেরিকার ইতিহাসে এ এক অভূতপূর্ব ঘটনা। ১৯৩২-৩৩ সালের মহা মন্দার সময়েও এত মানুষ কাজ হারান নি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও আশঙ্কা জানিয়েছিল, করোনা মহামারীর কারণে আমেরিকাজুড়ে ৩০ কোটির বেশি মানুষ বেকার হয়ে পড়তে পারে। জুন মাসে এক সপ্তাহে ১৫ লক্ষ মানুষ বেকার ভাতার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল।
খবরের কাগজগুলো ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর এখন মৃত্যুপুরী’, ‘মৃত্যু উপত্যকা নিউ ইয়র্ক’— লিখতে শুরু করল।
আশার কথা হলো, শতভাগ কার্যকরী না হলেও ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। সে অবস্থা কাটিয়ে না উঠতেই দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আবারও হাজির হয়েছে করোনা। এসেছে নতুন রূপ নিয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রূপ আরও ভয়ংকর।
করনারা ভয়ংকর রোষানল থেকে আমাদের পরিজনকে রক্ষা করতে হবে। আর এর থেকে রক্ষার প্রধানতম উপায় হলো সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে চলা। ভুলে যাওয়া যাবে না যে, করোনা থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখা গেলে তবেই আমার পরিজনরা নিরাপদ থাকবেন।
আসুন আমরা সকলে নিজেকে নিরাপদ রেখে পাশের মানুষটির দিকে সহযোগিতার হাতটি প্রসারিত করি। সকলকে আবারও বড়দিনের শুভেচ্ছা। শুভ বড়দিন।