সম্প্রতি একটি প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে —
ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পান কীভাবে?
এখন কেন তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে?
কে তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছিল, আর এখন কোন যুক্তিতে তা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা উঠছে?
এসব প্রশ্নে আমার বিন্দুমাত্র কৌতূহল নেই।
আমি জানি— ব্যক্তির চেয়েও বড় দেশ,
আর দলে বিভক্ত রাজনীতির চেয়েও বড় মানুষের স্বপ্ন।
আমি কোনো দলের হয়ে কথা বলি না।
সেকারণ মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ — আমার চোখে একই রকম।
শুধু মুখ বদলায়, সংলাপ একই থাকে।
আমার কেবল মনে পড়ে যায় সেইসব মানুষদের,
নিঃস্ব হয়েও যারা একদিন যুদ্ধ করেছিলেন — দেশের জন্য।
যারা কোনো পদ বা উপাধি চান নি,
চেয়েছিলেন সম্মানের সঙ্গে সকলকে নিয়ে মানবিক ভাবে বাঁচতে।
আজকে যখন দেখি — দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ঘিরে বিতর্ক তৈরি করা হয়,
তখন বুকের ভেতরে কেবল একটাই শব্দ বাজে:
“আমাদের ক্ষমা করুন হে বীর সন্তান,
দেশ ও জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সূর্যসন্তান একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা।”
প্রার্থনা করি— যেন কোনো একদিন আমরা
মানুষের মর্যাদাকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে পারি।
যেন একদিন আমার দেশের সন্তানরা দলের নয়, মানুষের পরিচয়ে পরিচিত হয়।
আমি দল করি না। পক্ষ নিই না কখনো।
আমি কেবলই নিভৃতচারী এক দেশপ্রেমিক —
যে ভালোবাসে দেশকে, বিশ্বাস করে মানবিকতায়,
আর সত্য মানে ভয়হীন কণ্ঠ।
ভালো থাকবেন🤗ভালোবাসবেন।