৪ঠা জুলাই শুধুই একটি তারিখ নয়। এটি একটি জাতির আত্মপরিচয়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা দিনের নাম। ১৭৭৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা গৃহীত হয়েছিল। সেই দিন থেকেই মানুষ শিখেছিল—স্বাধীনতা কোনো দান নয়, এটি অর্জন করতে হয় সাহস, ত্যাগ আর ঐক্যের মাধ্যমে।
আজ যখন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ আতশবাজিতে রঙিন হয়ে উঠবে, যখন শিশুদের হাতে পতাকা উড়বে আর সবার কণ্ঠে ধ্বনিত হবে ‘স্টার স্প্যাংলড ব্যানার’—তখন মনে করিয়ে দিতে হবে, এই আনন্দ কোনো অলৌকিক ঘটনার ফল নয়। স্বাধীনতার পেছনে আছে অসংখ্য মানুষের প্রাণ, অশ্রু আর রক্তের গল্প।
কিন্তু স্বাধীনতা মানে কেবল নিজের অধিকার নয়—এটি অন্যের অধিকারকেও সম্মান করার শপথ। স্বাধীনতা মানে বৈচিত্র্যের মধ্যে একতা, সবার জন্য সমান সুযোগ, সমান ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। আজও যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে বৈষম্য, ঘৃণা ও বিভাজন আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। তাই আজকের দিনে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে—কীভাবে আমরা এই দেশটিকে সবার জন্য নিরাপদ, ন্যায্য ও মর্যাদাপূর্ণ করতে পারি।
৪ঠা জুলাই আসলে একটি শপথের দিন। শপথ—সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে, সব ভেদাভেদ দূরে সরিয়ে আমরা এমন একটি সমাজ গড়ব যেখানে স্বাধীনতার আলো সবার মুখেই সমানভাবে পৌঁছাবে।
🎇 শুভ স্বাধীনতা দিবস! হ্যাপি ফোর্থ অব জুলাই! 🇺🇸
লেট ফ্রিডম রিং ফর অল। উইথ জাস্টিস অ্যান্ড ইউনিটি।