মানুষ নাকি বারো রকম। না, বারো রকম মানুষ নিয়ে আমি বলতে বসি নি। তবে বারো রকমের এক রকম আছে-
মানুষের চিন্তাভাবনাগুলো সাধারণত তার নিজেকে আবর্ত করে হয়। এমন মানুষদেরকে আমরা বলি ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এদের আরও অভিধা রয়েছে, কিন্তু এখানে উল্লেখ করাটা জরুরি নয়। তবে মানুষের দিনমান নানান যাতায়াত আর কর্মকাণ্ড যে তার চিন্তাকে প্রভাবিত করে- এইটি খুব সত্যি। তো মানুষে ওই কর্মকাণ্ডের কারণে কেউ কেউ মনখারাপ করেন, কেউ অভিমান কিংবা রাগ করেন, আবার কেউ আঘাত পান। এখানে দুঃখজনক ব্যাপারটা হলো তার কর্মকাণ্ডের কারণে যতটা না আঘাত পায়, তারচেয়ে অনেক বেশি আঘাত ও কষ্ট পায় তার মন্তব্য, মতামত বা অভিমতের ফলে। আর সে মানুষটি যদি হন ক্ষমতার পরাকাষ্ঠা তখন তো আমাদের মতো সাধারণে কিছু বলবার উপায়ও থাকে না। কেননা তার সেসব মন্তব্য, মতামত বা অভিমত আর অভিমত থাকে না। আমাদের ওপরই চেপে বসে।
তারা বুঝতে চান না, আমরা সাধারণেরা আমাদের সাদা চোখে চারপাশে শুভকেই দেখতে চাই, শুনতে চাই বুঝতে চাই। কন্টক বিহীন আমাদের মনও সেসব খুঁজে খুঁজে আমাদেরকে দেখায়। আমাদের নাই আমাদের কাছে তথ্য সরবরাহ করে- এইখানেই তোমার স্বর্গ, এইখানেই তোমার নরক। সেই যে কবি শেখ ফজলল করিম লিখেছিলেন, ‘কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?’ মনে আছে তো? তিনি তো ভুল বলেন নি। বলেন নি বলেই তাঁর সে বলে দেওয়া কালজয়ী হয়েছে।