মানুষের জীবন তো একটাই। কিন্তু সে জীবনকে জীবনের প্রয়োজনে আবার ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিই আমরা। যেমন শিক্ষাজীবন, কর্মজীবন, বিবাহিত জীবন ইত্যাদি। এসব ছোট ছোট ভাগ যখন নিজের প্রান্ত শেষে পরের অংশে গিয়ে সংযোজিত হতে পারে তখনই জীবন সফল মনে হয়। এ সফলতা দুটা বিষয় দাবী করে। একটা অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নয়। অপরটা আত্মতৃপ্তি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় অর্থনৈতিক ‘নিশ্চয়তা’কে ‘সমৃদ্ধি’ ভেবে অর্থর পেছনে ছুটতে ছুটতে ‘আত্মতৃপ্তি’ উপেক্ষিত হয়ে যায়। তখন সে মানুষটি অসুখি যন্ত্রবিশেষ হয়ে ওঠেন।
ওপরের ও ভাবনাটি শাহ্ জে. চৌধুরীকে খুব নাড়া দিত। বাংলা সাহিত্য পড়ে ইতিহাসের শিক্ষক হতে তিনি রাজি নন। জীববিজ্ঞানের ডিগ্রি নিয়ে মোটা বেতনে আবহাওয়া অফিসে চাকরি পেলেই তিনি সন্তুষ্ট নন। প্রথাগতভাবে সমৃদ্ধির সঙ্গে আয়েশ জুড়ে দিয়ে জীবনকে উপভোগ করতে তৈরি তার জীবনের ছোট ছোট অংশগুলোর সঙ্গে মূল জীবনের সঙ্গে সংযোগ থাকতে হবে। থাকতে হবে আত্মতৃপ্তি।
শাহ জে. চৌধুরী একজন কিংবদন্তি উদ্যোক্তা। তার উদ্ভাবন, নেতৃত্ব এবং অধ্যবসায় দিয়ে, তিনি নিজের বহুমুখি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ভারতের দিল্লি থেকে একটি ছোট পর্যটন কর্মজীবন শুরু করেন। তখন থেকেই নিজের গ্রুপ অফ কোম্পানি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল ২০০৪ সালে গড়ে তোলেন শাহ্ গ্রুপ।
বর্তমানে শাহ গ্রুপের অধীনে ১৬টি বিভিন্ন পর্যায়ের কোম্পানি রয়েছে। এবং এসব কোম্পানির সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মিডিয়া। শাহ গ্রুপের মিডিয়া আধুনিক সকল মাধ্যমে- যেমন মুদ্রণ, টেলিভিশন ও ইন্টারনেটে বিচরণ করছে।
শাহ্ জে. চৌধুরী তার প্রথম জীবন ভারতের আসামের শিলচরে কাটিয়েছেন। তিনি ১৯৯১ সালে ভারতের গুয়াহাটি ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর, ১৯৯৩ সালে মালয়েশিয়ার সেলেঙ্গা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা অর্জন করেন। তিনি বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি এবং মালয় ভাষায় দক্ষ।
শাহ্ জে. চৌধুরী বর্তমানে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে বাস করছেন। তার কাজের ক্ষেত্র মূলত নিউ ইয়র্ক কেন্দ্রিক হলেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সে কাজের ধারা ছড়িয়ে আছে- যার মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশ অন্যতম।
পত্রপত্রিকায় শাহ্ জে. চৌধুরীর প্রকাশিত কলাম নিয়ে ইতোমধ্যে ‘ভাবনার উৎসে শিরোনামে অনুস্বর পাবলিকেশনস্ থেকে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। পরবর্তীতে ‘অরিজিন অব থটস্’ শিরোনামে বগুড়া ক্যান্টনমেন্টের ইংরেজির শিক্ষক সুলতানা পারভীন শিমুল ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। আগামিতে তার আরও কিছু বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে বলে জানা যায়।